২ পাত্রীকে একসঙ্গে অগ্নিসাক্ষী করে বিয়ে করলেন যুবক
২ মেয়েকে একসঙ্গে বিয়ে করলেন এক যুবক। একই মণ্ডপে বিয়ে হল এক বরের সঙ্গে ২ কনের।
বেতুল (মধ্যপ্রদেশ) : বর ১, কনে ২। এমনই অভূতপূর্ব বিয়ে হল ধুমধাম করে। বরের পরিবার তো বটেই, ২ কনের পরিবারও একসঙ্গে হৈহৈ করল বিয়েকে কেন্দ্র করে। মণ্ডপও ছিল এক। বর-কনে পাশাপাশি বসেছিলেন। তবে কনের সংখ্যা ১ ছিলনা, ছিল ২। ২ পাত্রীকে একসঙ্গেই বিয়ে করলেন এক যুবক। অগ্নিসাক্ষী করে। সাতপাক দিয়ে, গাঁটছড়া বেঁধে। এমন এক বিয়ের কথা শুনে গোটা দেশ হতবাক হলেও পরিবার থেকে গ্রাম কারও কোনও অভিযোগ নেই। সকলে মিলে আনন্দ করলেন বিয়েতে।
কেন এমন বিয়ে? পরিবার থেকে গ্রাম এমন বিয়ে মেনে নিল! মনে হওয়াটা ভুল নয়। আসলে পাত্র সন্দীপ উইকে ভোপালে পড়াশোনা করাকালীন হোসাঙ্গাবাদের একটি মেয়ের প্রেমে পড়েন। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর হয়। ২ জনের প্রেমপর্ব জমে ওঠে। এদিকে পড়া শেষে সন্দীপের পরিবার সন্দীপের জন্য একটি মেয়েকে পছন্দ করে। তাঁর সঙ্গে সন্দীপের বিয়ে হবে বলে সন্দীপকে জানান তাঁরা। আর তা বলতেই শুরু হয় গণ্ডগোল।
সন্দীপ যে মেয়েটির সঙ্গে প্রেম করছেন তাঁকে বিয়ে করতে চান। আর অন্যদিকে বাড়ি বেঁকে বসে। তাদের পছন্দের মেয়েকেই বিয়ে করতে হবে সন্দীপকে। বিষয়টি গড়ায় গ্রাম পঞ্চায়েত পর্যন্ত। সেখানে ৩টি পরিবারকেই ডাকা হয়। সন্দীপ ও ২ মেয়ের পরিবার একসঙ্গে হলে পঞ্চায়েত ২ মেয়ের কাছে জানতে চায় তারা একসঙ্গে সন্দীপের সঙ্গে ঘর করতে রাজি কিনা। দুজনেই রাজি বলে জানান। তারপর পঞ্চায়েতই জানিয়ে দেয় ২ মেয়ের সঙ্গে একই মণ্ডপে বিয়ে হবে সন্দীপের। হয়ও তাই।
মধ্যপ্রদেশের বেতুলের বাসিন্দা সন্দীপের ধুমধাম করেই বিয়ে হয় ঘোদাডোংরি ব্লকের কেরিয়া গ্রামে। এই গ্রামের মেয়ে তাঁর পরিবারের পছন্দের। আর এখানেই এসে বিয়ের মণ্ডপে বসেন তাঁর প্রেমিকাও। ২ স্ত্রীকে নিয়ে নতুন দাম্পত্য জীবন যাতে সন্দীপের সুখী হয় সেজন্য গোটা গ্রাম তাঁদের আশির্বাদ করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা