সব সাজিয়েও পার পেল না মা, মেয়ে ও মায়ের প্রেমিক
সবকিছু ছিল পরিকল্পনা মত সাজানো। কিন্তু তাতেও অপরাধ সামনে এসেই পড়ল। পার পেল না মা, মেয়ে ও মায়ের প্রেমিক।
নয়াদিল্লি : মা, মেয়ে ও মায়ের প্রেমিক। সঙ্গে মেয়ের স্কুলের এক বান্ধবী। সকলেই ধরা পড়ল। পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে সাজানো পরিকল্পনাও কাজে এল না। সূত্র বার করেই নিল পুলিশ। এদিকে ধৃতদের মধ্যে মেয়ে ও তার বান্ধবী অপ্রাপ্তবয়স্ক। পুলিশ হতবাক যে মা ও মায়ের প্রেমিককে সাহায্য করতে নিজের বাবাকে হত্যায় মদত দিতে মেয়ের এতটুকু কুণ্ঠা হল না। বরং নিজের স্কুলের এক বান্ধবীকেও এই কাজে শামিল করল সে।
পুলিশ জানাচ্ছে, কয়েকদিন আগে একটি নর্দমা থেকে উদ্ধার হয় এক ব্যক্তির দেহ। ওই ব্যক্তিকে যেখানে পাওয়া যায় তার থেকে কিছুটা দূরেই পড়েছিল তাঁর গাড়ি। সেই গাড়িটিও উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত্যুর সময় ওই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলেও জানতে পারে পুলিশ। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে রাস্তায় মৃত্যু। এমনই একটা গল্প ফাঁদার চেষ্টা হয়। কিন্তু পুলিশ ওই ব্যক্তির ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পায়।
পুলিশ জানতে পারে মনোজ নামে এক যুবক ৮-৯ মাস ধরে তাঁর দাদা মৃত মহেন্দ্রর বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেছিল। মহেন্দ্র যখন বাড়ি থাকতেন না তখন সে আসত। তার সঙ্গে মহেন্দ্রর স্ত্রীর একটা অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। এই অবৈধ সম্পর্কের কথা একদিন জানতে পারেন মহেন্দ্র। বাড়িতে অশান্তি শুরু হয়। তখন মায়ের পাশেই ছিল মেয়ে।
পুলিশ মনোজকে গ্রেফতার করে জেরা শুরু করে। তখনই জেরায় সে সব কথা স্বীকার করে। মনোজ জানায়, সে তার প্রেমিকা অর্থাৎ মহেন্দ্রর স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে পরিকল্পনা করে কদিন আগে তাদের বাড়িতে হাজির হয় সন্ধেয়। তখন মহেন্দ্র মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তাঁকে এরপর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তারা। এই কাজে পাশে ছিল মহেন্দ্রর মেয়ের স্কুলের এক বান্ধবীও। পরে দেহ মহেন্দ্রর গাড়িতেই তুলে ফেলে আসে মনোজ। সকলকেই এরপর গ্রেফতার করে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা