৩০টি ভেড়াকে পিটিয়ে মারল ২০টি বাঁদর
৩০টি ভেড়ার জীবন শেষ করে দিল ২০টি বাঁদর। ৩০টি ভেড়াকেই পিটিয়ে, আঁচড়ে কামড়ে শেষ করে দেয় তারা।
হায়দরাবাদ : ৩০টি ভেড়ার একটি পাল রয়ে গিয়েছিল মেষপালকের বাড়িতেই। এই ৩০টি ভেড়ার জন্ম হয়েছে দিন ৩০-এর মধ্যেই। কম বয়সের এই ভেড়ার পালকে মাঠে চড়াতে নিয়ে যাননি তিনি। বাকি ভেড়াদের নিয়ে মাঠে চলে যান। মেষপালকের আস্তানাতেই থেকে যায় ৩০টি ভেড়া। বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় কিছু বাঁদরের। তারা বাড়ি ফাঁকা দেখে মেষপালকের বাড়িতে ঢুকে পড়ে।
২০টি বাঁদর ভাল করে দেখে নেয় আশপাশে কেউ নেই। এবার তাদের আক্রমণের লক্ষ্য হয় ৩০টি ভেড়ার ওই পালটি। যে পালটি রয়ে গিয়েছিল মেষপালকের আস্তানায়। ভেড়ার পালের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ২০টি বাঁদর। বাঁদরদের মারে রক্তাক্ত হতে থাকে ভেড়াগুলি। ভেড়াগুলির চিৎকারে আশপাশের মানুষ ছুটে এলেও বাঁদর তাড়াতে তেমন সফল হননি। বরং বাঁদরগুলি ৩০টি ভেড়াকেই এমনভাবে আঁচড়ে, কামড়ে, পিটিয়ে যায় যে সবকটি মারা যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার সূর্যপেট জেলার শোবানাদ্রিগুদেম গ্রামে। এখানে তো বটেই এমনকি সূর্যপেট জেলা জুড়েই বাঁদরদের তাণ্ডব সুপরিচিত। গৃহস্থের বাড়ি থেকে দোকানপাট, কোথাও তারা হামলা চালাতে বাকি রাখেনি। বাঁদরের দল মাঝেমধ্যেই হানা দেয় বাড়িতে, দোকানে। দোকানে বাঘের বড় টেডি রেখে বাঁদরদের ভয় দেখানো এই জেলায় বহুল প্রচলিত। শুধু হামলাই নয়, তারা মানুষকেও আক্রমণ করে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা