তদন্তে মুম্বইয়ে নামতেই কোয়ারেন্টিনে, সমালোচনায় সরব নীতীশের পুলিশ
তদন্ত করতে মুম্বইয়ে নামতেই গত রবিবার কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় বিহারের পাটনার পুলিশ সুপারকে। তাঁকে অবিলম্বে কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবিতে সরব বিহার পুলিশ।
পাটনা : অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে বিহার পুলিশের কাছে একটি এফআইআর দায়ের করেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং। সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে এফআইআর করেন। সেইসব অভিযোগের তদন্ত করতে বিহার পুলিশের ৪ সদস্যের একটি দল গত শনিবারই মুম্বই পৌঁছয়।
দলটিকে নেতৃত্ব দিতে ও তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পাটনার পুলিশ সুপারকে পাঠায় বিহার পুলিশ। পাটনা সেন্ট্রালের পুলিশ সুপার ২০১৫ ব্যাচের আইপিএস বিনয় তিওয়ারি গত রবিবার মুম্বইতে নামেন। কিন্তু তারপরই তাঁকে নিয়ে গিয়ে কোয়ারেন্টিনে পাঠায় বৃহন্মুম্বই পুরসভা। যা নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল থেকে বিহার পুলিশ।
বিনয় তিওয়ারিকে এভাবে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না বিহার পুলিশ। তাদের তরফে বৃহন্মুম্বই পুরসভাকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে অবিলম্বে যেন কোয়ারেন্টিন থেকে বিনয় তিওয়ারিকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং তাঁকে তাঁর তদন্তের কাজ করতে দেওয়া হয়। বৃহন্মুম্বই পুরসভা বেআইনি কাজ করেছে বলেও দাবি করা হয়।
এভাবে বৃহন্মুম্বই পুরসভা একজন পুলিশ আধিকারিককে কোয়ারেন্টিনে পাঠাতে পারে না বলেও সরব হয় বিহার পুলিশ। গোরেগাঁওয়ের এসআরপিএফ গেস্ট হাউসে বিনয় তিওয়ারিকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে তারা কোভিড আইন মেনেই কাজ করেছে। বাইরে থেকে বিমানে এলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন আবশ্যিক। সেটাই করা হয়েছে।
সুশান্তের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আগেই সিবিআই তদন্তের দাবি ওঠে। কিন্তু তা নাকচ করে দেয় মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে সরকার। এরপর বিহার পুলিশ তদন্তে এলে তাদের তরফে জানানো হয় মুম্বই পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। এ বিষয়ে বিহার পুলিশ তদন্তে ঢুকে পড়তে পারেনা। ফলে একটা চিড় ধরেইছিল। অনেকের ধারণা সেটা একটা বড় কারণ হয়েছে বিনয় তিওয়ারিকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর। এতে ঘুরিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হল বিহার পুলিশের তদন্ত চাইছে না মুম্বই পুলিশ। এখন দেখার এই ঠান্ডা লড়াই কোথায় গিয়ে ঠেকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা