অযোধ্যায় শুরু রামার্চা পুজো, সব বাড়ির রং হলুদ
বুধবার রাম মন্দিরের ভূমি পুজো। তার আগে সূচি মেনেই মঙ্গলবার অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি চত্বরে হল রামার্চা পুজো।
অযোধ্যা : অযোধ্যা সেজে উঠেছে। প্রায় সব বাড়ির রং হলুদ হয়েছে। রাস্তা মোলায়েম পিচে ঢাকা পড়েছে। সন্ধে সামনেই সরযূর ধারে জ্বলে উঠছে প্রদীপের সারি। ঘরে ঘরেও প্রদীপ জ্বলে উঠছে। গোটা শহরটা উৎসবের আলোয় মাতোয়ারা। তেমনই কড়া করা হয়েছে সুরক্ষা বলয়। এদিকে বুধবার ভূমি পুজোর আয়োজন আচার শুরু হয়েছে সোমবার থেকেই। সোমবার গৌরি গণেশ পুজো দিয়ে শুরু হয়েছে আচারানুষ্ঠান। আগেই পুজোর সূচি জানানো হয়েছিল। সেইমত মঙ্গলবার সকালেই শুরু হয় রামার্চা পুজো। বারাণসী ও অযোধ্যার ১১ জন পুরোহিত মিলে এই পুজো শুরু করেন সকালে। রামার্চা পুজোয় ২টি বিষয় মূল। এক রাম কথা এবং দুই রাম ধুন।
রাম মন্দির চত্বরে যখন রামার্চা পুজো চলছে, তখন অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দিরে শুরু হয় পতাকা পুজো। হনুমানজির পুজো হিসাবে এই পতাকা পুজো আয়োজিত হয়। মঙ্গলবার অযোধ্যা জুড়ে ছিল এক উৎসবের আবহ। বিভিন্ন মন্দিরে পুজো চলেছে। আরতি হয়েছে। রাস্তায় বহু মানুষকে রামনাম করতে দেখা গেছে। কেউ হনুমান সেজে রাস্তায় নেচেছেন। কেউ তালে তাল দিয়ে নাচ উপভোগ করেছেন। রামের নামে জয়ধ্বনি করেছেন। গোটা অযোধ্যাটাই হলুদ রঙে সেজে উঠেছে। হলুদ বা গেরুয়া রং হিন্দু ধর্মীয় আচারে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তাই অধিকাংশ অযোধ্যার বাড়িই হলুদে সেজে উঠেছে।
অযোধ্যায় নিরাপত্তা বন্দোবস্তও কঠোর করা হয়েছে। সেইসঙ্গে করোনা আতঙ্ক তো রয়েছেই। তবে মানুষের উচ্ছ্বাস, উৎসাহে ভাটা পড়েনি। অযোধ্যায় বুধবার সকালে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগেই মঙ্গলবার রাতে পৌঁছে যাচ্ছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত।
তবে রাম জন্মভূমি আন্দোলনে যাঁদের এক সময় পুরোধা হিসাবে ধরা হত সেই লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর যোশী বা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং ভূমি পুজোয় অংশ নিচ্ছেন না। তাঁরা এর থেকে দূরেই থাকছেন। মোট ১৭৫ জন অতিথি আমন্ত্রিত থাকছেন ভূমি পুজোয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা