৩ সমুদ্র, ১৫১ নদী থেকে জল নিয়ে অযোধ্যায় হাজির ২ ভাই
একটা দুটো নদী নয়, ১৫১টি নদীর জল আলাদা আলাদা করে সংগ্রহ করা মুখের কথা নয়। সেটাই করলেন ২ ভাই।

অযোধ্যা : ৭ সমুদ্র, ১৩ নদীর রূপকথার গল্প শুনে যাঁরা ছোটবেলায় অবাক হতেন, তাঁদের বড় বয়সে এসে চমকে দিলেন দুই ৭০ বছরের বৃদ্ধ। রূপকথার গল্পের চেয়েও কঠিন কাজটা তাঁরা করেছেন অযোধ্যায় ভূমি পুজোর জন্য। ৩টি সমুদ্র ও ১৫১টি নদীর জল সংগ্রহ করে তাঁরা ঠিক ভূমি পুজোর আগেই হাজির হলেন অযোধ্যায়। নিয়ে এলেন ১৬টি তীর্থক্ষেত্রের মাটিও। ৭০ বছরের ২ বৃদ্ধের এই উৎসাহ অবাক করেছে অনেককে।
রাম মন্দিরের ভূমি পুজো উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পবিত্র নদীর জল ও তীর্থক্ষেত্রের মাটি স্বেচ্ছাসেবক ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা নিয়ে হাজির হয়েছেন। তবে এই ২ ভাই কিন্তু তাঁদেরকেও কোথাও গিয়ে ছাপিয়ে গেলেন। কারণ তাঁদের সংগ্রহের তালিকায় শ্রীলঙ্কাও পড়ে গেছে।
রাধেশ্যাম পাণ্ডে ও পণ্ডিত ত্রিফলা, ২ ভাই সেই কবে ১৯৬৮ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন নদীর জল সংগ্রহ করা শুরু করেন। নদীর পাশাপাশি সমুদ্রের জলও সংগ্রহ করতে থাকেন তাঁরা। এছাড়া শ্রীলঙ্কার ১৬টি স্থানের মাটিও তাঁদের সংগ্রহে রয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, এটা তাঁদের স্বপ্ন ছিল যে যখনই রাম মন্দির তৈরি হোক না কেন তাঁরা তাঁদের সংগ্রহে থাকা ১৫১টি নদী, ৩টি সমুদ্র ও শ্রীলঙ্কার ১৬টি স্থানের মাটি রাম মন্দিরের ভূমি পুজোয় দান করবেন।
১৯৬৮ সাল থেকে এই ২ ভাই কখনও সাইকেলে চড়ে, কখনও মোটরবাইকে, কখনও ট্রেনে, কখনও প্লেনে আবার কখনও পায়ে হেঁটে এই জল ও মাটি সংগ্রহ করে চলেছেন। তবেই হয়তো আজ তাঁদের সংগ্রহে জায়গা পেয়েছে ১৫১টি নদীর জল। ৩টি সমুদ্রের জল। এখন তাঁরা তাঁদের সেই এতদিনের সংগ্রহ নিয়ে হাজির হয়েছেন অযোধ্যায়। আগামী বুধবার ভূমি পুজোয় তাঁরা চান তাঁদের এই সংগ্রহ কাজে লাগুক। এও এক বিশাল প্রাপ্তি বলে মেনে নিচ্ছেন অনেকেই। প্রসঙ্গত আগামী বুধবার অযোধ্যায় রাম মন্দিরের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা