ভূমি পুজোয় বাঁদর তাড়াতে মোতায়েন ১ হাজার কর্মী
অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমি পুজোয় অংশ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পুজো যেখানে হচ্ছে সেখান থেকে বাঁদরের দলকে তাড়াতে মোতায়েন হল ১ হাজার কর্মী।
অযোধ্যা : হিসাব বলছে অযোধ্যায় বাঁদরের সংখ্যা ১০ হাজারের ওপর। তারা নিরীহ যে এমনটাও নয়। বাঁদরের দল যে কোনও সময় হামলা চালায়। তাই রাম জন্মভূমি চত্বরে ঢোকার সময় পুজোয় অংশ নিতে আসা মানুষজনকে যাতে বাঁদরের হাতে পড়তে না হয় সেজন্য একটি জালের প্রবেশপথ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু পুজো যেখানে হবে সেখানে তো তাদের হামলা হতেই পারে। ১০ হাজারের একটা অংশও যদি আচমকা হামলা চালায় তাহলে তো মুশকিল। তাই ভূমি পুজোর স্থান থেকে বাঁদরদের দূরে রাখতে ১ হাজার কর্মী নিয়োগ করল প্রশাসন। তাদের কাজ হবে বাঁদরদের ভূমি পুজো স্থলের ত্রিসীমানার মধ্যে ঢুকতে বাধা দেওয়া।
সরকারি দফতরে কর্মরত সাফাইকর্মী, হোম গার্ড ও বন দফতরের কর্মীদের এই কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে। কোনওভাবে অনুষ্ঠানস্থলের ধারে কাছে বাঁদররা হাজির হলেই তাদের তাড়ানো হবে এই কর্মীদের কাজ। এজন্য তাঁদের হাতে থাকছে কাঠের লাঠি এবং গুলতি। বাঁদর কাছাকাছি ঘেঁষার চেষ্টা করলেই তাদের গুলতি ছুঁড়ে বা ডাণ্ডা মেরে হঠাতে হবে এই কর্মীদের। সেজন্য সবসময় চোখকান খোলা রাখতে হবে তাঁদের। মোটকথা বাঁদর পুজোর স্থানে এলে চলবে না।
প্রশাসন অবশ্য শুধুই এই ১ হাজার কর্মীর ওপর পুরো ভরসা ছেড়ে বসে নেই। বাঁদরদের জন্য প্রচুর ফল ও ছোলার ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সেগুলি অনুষ্ঠানস্থল থেকে অনেকটা দূরে এক জায়গায় জড়ো করা হচ্ছে। যাতে সেখানে পর্যাপ্ত খাবার পেয়ে সেসব খেতেই ব্যস্ত থাকে বাঁদররা। সেসব পছন্দের খাবার ফেলে অনুষ্ঠানস্থলে হামলা চালানোর কথা তারা ভেবে দেখবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
এর পরেও যদি কোনও বাঁদর কাছাকাছি এসেই পড়ে তো তার জন্য ১ হাজার কর্মী তো রইলেনই। তাঁরাই তখন গুলতি ছুঁড়ে বা ডাণ্ডা পেটা করে তাদের হটিয়ে দেবেন। এভাবে বাঁদরকে দূরে রেখে অনুষ্ঠান ভালোয় ভালোয় মিটিয়ে ফেলাই এখন স্থানীয় প্রশাসনের একমাত্র লক্ষ্য। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা