শহরে হেঁটে বেড়াচ্ছেন মৃত তরুণী, সুলুক সন্ধান করল পুলিশ
শহরে হেঁটে বেড়াচ্ছেন মৃত তরুণী। পুলিশ স্টেশনেও হাজির। সুলুক সন্ধান করল পুলিশ।
নয়াদিল্লি : একটি সুটকেসে এক মৃত তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। কে ওই তরুণী? হদিশ না পেয়ে পুলিশ ওই তরুণীর ছবি সোশ্যাল সাইটে দিয়ে জানায় যদি কারও পরিচিত ওই মহিলা হন তাহলে তিনি যেন যোগাযোগ করেন। গাজিয়াবাদে পাওয়া ওই সুটকেসে থাকা মৃত তরুণীর ছবি দেখে গত ২৭ জুলাই পুলিশের কাছে হাজির হয় এক মহিলা। নাম বুন্দু। সঙ্গে ছিল তার ছেলে। মহিলা পুলিশের কাছে দাবি করে ওই তরুণী তার মেয়ে। ২৪ বছরের ওয়ারিশা তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ওই মহিলা এও দাবি করে তার মেয়েকে পণের জন্য তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেরে সুটকেসে পুরে ফেলে দিয়েছে। তাই তাঁর খোঁজ মিলছিল না।
পুলিশ এরপর ওই মহিলা ও তার ছেলের হাতে দেহ তুলে দেয়। তারা দেহ নিয়ে ফিরে যায় আলিগড়ে। যেখানকার বাসিন্দা তারা। গত ২৯ জুলাই বুন্দু ও তার পরিবার ওই তরুণীর দেহ যাবতীয় নিয়ম মেনে কবর দেয়। বিষয়টি এখানেই শেষ হয়ে যেত যদি না মৃত ওয়ারিশা আবার বেঁচে উঠতেন! কারণ গত সোমবার আলিগড়ে পুলিশের কাছে হাজির হন এক তরুণী। দাবি করেন তিনিই ওয়ারিশা। মৃত তরুণী শহরে হেঁটে বেড়াচ্ছেন! হাজির হয়েছেন সোজা পুলিশ স্টেশনে।
আপাত আতঙ্ক কাটিয়ে পুলিশ বোঝার চেষ্টা করে ওই তরুণী সত্যিই ওয়ারিশা কিনা। তার প্রমাণও পায় পুলিশ। ওই তরুণী স্বীকার করেন যে তিনি তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে যান। কিন্তু কেন তিনি পালান তা পুলিশের কাছে খোলসা করেননি। বরং এটা পুলিশের কাছে পরিস্কার করে দেন যে আদপে তাঁর মা ও ভাই অন্য তরুণীর দেহকে তাদের মেয়ের দেহ বলে চালিয়ে দিয়েছে।
পুলিশ বুঝতে পারে আদপে ওয়ারিশার শ্বশুরবাড়িকে বিপাকে ফেলতেই এই কাণ্ড করেছে বুন্দু ও তার ছেলে। তারপরই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। সুটকেসে পাওয়া তরুণীর দেহ প্রয়োজনে মাটি থেকে তুলে ফের তাঁর পরিচয় জানার চেষ্টা হবে। তাছাড়াও তাঁর ভিসেরা ও ডিএনএ রিপোর্ট পুলিশের কাছে রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা