ডিনার খেতে গৃহস্থের ঘরে হাজির গোখরো
গৃহস্থের ঘরে ঢুকে কারও ক্ষতি না করে স্রেফ অপেক্ষা করছিল একটি গোখরো সাপ। ঠিক ডিনারের আগে।
আগ্রা : রাত হয়ে এসেছে। এবার সকলে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমোতে যাওয়ার কথা। নতুন কিছু নয়। দেশের সব পরিবারের এটাই প্রতিদিনের রীতি। সেইমত সকলে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। কিন্তু জানতেন না তাঁদের সঙ্গে রাতে খাবার টেবিলে অংশ নিতে হাজির হয়েছে আরও এক অতিথি। অনাহুত অতিথি। সে অতিথির দেখা মিলল আলমারি খুলতে। রাতে খেতে যাওয়ার আগে আলমারি খুলতেই সেখানে দেখা মিলল এক গোখরো সাপের। দেখা মাত্র শিরদাঁড়া দিয়ে বয়ে গেল হিমস্রোত। গোখরো তো নয়! সাক্ষাৎ মৃত্যুর সঙ্গে যেন দেখা হয়ে গেল তাঁদের। রাতের খাওয়া উঠল লাটে। যদিও গোখরো কাউকে কিছুই করেনি। বরং কিছুর জন্য যেন সে অপেক্ষায় ছিল। হয়তো ডিনারের!
পরিবারের সকলে বিষয়টি দেখামাত্র আর সময় নষ্ট না করে দ্রুত খবর দেন এনজিও ওয়াইল্ডলাইফ এসওএস-এ। তারা দ্রুত দক্ষ ব্যক্তিদের পাঠায়। তাঁরা এসে আলমারির কাছে চারিদিক থেকে সাবধানতা অবলম্বন করে ব্যবস্থা নেন। গোখরো বলে কথা। গোখরোর বিষ সুবিদিত। সকলেই জানেন তার একটা ছোবল মানুষের প্রাণও কেড়ে নিতে পারে। তাই ধরতে গিয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে কঠোর নজর রেখে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তারপর শুরু হয় আলমারি থেকে গোখরোকে বন্দি করার প্রক্রিয়া।
গোখরোটিকে সব সাবধানতা অবলম্বন করে পাকড়াও করতে সময় লাগে ৩০ মিনিট। এই ৩০ মিনিট ছিল সকলের জন্যই টানটান। কারণ এমন বিষধর সাপের ক্ষেত্রে একটু ভুল ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনতে পারে। অবশেষে সেটিকে কোনও সমস্যা না ছাড়াই পাকড়াও করা হয়। তারপর সেটিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর প্রায় ২ থেকে ৩ ঘণ্টা কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। যখন দেখা যায় সাপটি স্বাভাবিক রয়েছে, তখন সেটিকে ফের গভীর জঙ্গলে ছেড়ে আসা হয়।
ভারতে যে ৪ রকমের অতিভয়ংকর বিষধর সাপ পাওয়া যায় তার মধ্যে একটি গোখরো। এমন সাপ তাই যে কোনও মানুষের কাছেই আতঙ্কের কারণ। এই ঘটনাটি ঘটেছে আগ্রায়। আগ্রার ধার ঘেঁষে রয়েছে গভীর জঙ্গল। সেখান থেকে মাঝেমধ্যেই শহরে, গ্রামে হানা দেয় বিভিন্ন প্রাণি, সাপখোপ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা