National

অস্বাভাবিক গরমে পুড়ছে ভূস্বর্গ, বর্ষাতেও উধাও বৃষ্টি

এমন গরম এই সময়ে এর আগে কখনও দেখেনি কাশ্মীর। তেমনই গরমে পুড়ছে ভূস্বর্গ।

শ্রীনগর : দেশের ৬টি রাজ্য যখন বন্যায় নাজেহাল। বহু মানুষ গৃহহীন। গ্রাম থেকে ফসল জলের তলায় হারিয়ে গেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ বন্যার্ত। পরিস্থিতি এখনও জটিল আকার নিচ্ছে। সেখানে ভারতের অন্য কোণা ভুগছে বৃষ্টির চরম অভাবে। কাশ্মীর জুড়ে গরম কালে এবার অস্বাভাবিক গরম পড়েছিল। তেমন গরম আগে কখনও দেখেননি কাশ্মীরবাসী। বরফে ঢাকা পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী সুন্দর শীতল আবহাওয়ায় অভ্যস্ত মানুষগুলো গরমে নাজেহাল হয়েছেন। ভেবেছিলেন প্রতি বছরের মত বৃষ্টি নামলেই বদলে যাবে আবহাওয়া। যেমনটা হয়। কিন্তু এবার যে বর্ষাটাও ঠিকঠাক জুটবে না তা তাঁরা কল্পনাও করতে পারেননি।

কাশ্মীরে বৃষ্টি প্রায় হচ্ছেনা বললেই চলে। এদিকে বৃষ্টি না হাওয়ায় পারদ সেই চড়েই আছে। এখনও ৩১-৩২ ডিগ্রির মধ্যে থাকছে সবোর্চ্চ তাপমাত্রা। যা এই সময়ে কাশ্মীরে পাওয়া যায়না। বৃষ্টি না হওয়া যে এই অস্বাভাবিক গরমের কারণ তা মেনে নিচ্ছেন আবহবিদেরা। গরমে হাঁসফাঁস করছেন কাশ্মীরবাসী। একটানা এত গরমে তাঁরা বাস করে অভ্যস্ত নন। ফলে কষ্ট আরও বেড়েছে। তারসঙ্গে বেড়েছে চিন্তাও। কৃষকরা কার্যত মাথায় হাত দিয়ে বসেছেন। বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠের ফসল নষ্ট হওয়ার জোগাড় হয়েছে।


আবহাওয়া দফতর কোনও আশার আলোও দিতে পারেনি। বরং পূর্বাভাস আরও চিন্তা বাড়িয়েছে। কাশ্মীরে বৃষ্টি আগামী ১ সপ্তাহেও হওয়ার কোনও আশা দেখছে না আবহাওয়া দফতর। বরং এমনই উষ্ণ আবহাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে তারা। যা কার্যত কাশ্মীরবাসীর জন্য একেবারেই সুখবর নয়। কাশ্মীরে এই সময় ভাল ধান হয়। কৃষকরা বৃষ্টি পান। সেই বৃষ্টির জলে ধান ঠিকঠাক হয়। কিন্তু এবার মাঠেই সেই ধানের চারা শুকোনোর জোগাড় হয়েছে। গত ১০ বছরে শ্রীনগরের পারদও এত চড়েনি। সর্বত্রই একটা গরমের বাতাবরণ।

গরমকালে গরম থেকে বাঁচতে কাশ্মীর ভ্রমণের একটা প্রবণতা ভারতবাসীর আছে। বাঙালিরাও ছুটে যেতেন কাশ্মীরে। শরীরটা একটু জুড়িয়ে নিতেন গরম থেকে দূরে এক সুন্দর শীতল পরিবেশে। কিন্তু কাশ্মীরের আবহাওয়া যেভাবে এবার নিজেদের চরিত্র বদলেছে তাতে চিন্তার কারণ রয়েছে। কাশ্মীরে শীতে যেমন পশ্চিমী ঝঞ্ঝা বেড়েছে, তেমনই দেখা গেল গরমও চড়ল মাত্রা ছাড়া ভাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button