২৬ ফুটের ২ হাজার কেজি ওজনের হাঙর ধরলেন মৎস্যজীবীরা, বিক্রিও হল
লম্বায় ২৬ ফুট। সারা গায়ে সাদা ফুটকি। ওজন ২ হাজার কেজি। এমনই এক দানব হাঙর ধরে আনলেন মৎস্যজীবীরা।
মুম্বই : ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যানা মৎস্যজীবীরা। সে বঙ্গোপসাগর হোক বা আরব সাগর। মুম্বইয়ের কোলাবা এলাকা এই মৎস্যজীবী ও মাছের বাজারের জন্য বিখ্যাত। এখান থেকেই ট্রলার নিয়ে আরব সাগরে মাছ ধরতে যান মৎস্যজীবীরা। ফিরে মাছ নিয়ে এসে এখানেই পাইকারি বাজারে বিক্রি করেন। এখান থেকেই একটি ট্রলার বেরিয়ে পড়েছিল মাছের খোঁজে। সমুদ্রতীর থেকে প্রায় ৫০-৬০ কিলোমিটার গভীরে আরব সাগরের ওপর তখন আবহাওয়া খুব একটা সুবিধের নয়। মাছ ধরার জন্য ফেলা জালে আচমকাই একটু অন্যরকম গতিবিধি নজরে পড়ে মৎস্যজীবীদের।
ভাল করে দেখতে গিয়ে তাঁরা দেখেন এক অতি বিশাল চেহারার হোয়েল শার্ক বা তিমি হাঙর জালে জড়িয়েছে। সেটি আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসার। কিন্তু পেরে উঠছে না। সেটিকে যে সমুদ্রেই ছেড়ে দেবেন সে উপায়ও নেই। কারণ জাল তুলে সেটিকে ছাড়া মুশকিল। এদিকে আবহাওয়া খারাপ হচ্ছে। ফলে জালে জড়ানো অবস্থাতেই জলের মধ্যে টানতে টানতে সেটিকে কোলাবার তীরে এনে ফেলেন মৎস্যজীবীরা।
তীরের কাছে এনে ফেলার পর ওই অবস্থায় সেটিকে রেখে সেখানকার মৎস্যজীবীদের সংগঠনের প্রধানকে খবর দেন। তাঁকে হাঙরটির ব্যবস্থা করতে বলে ওই ট্র্লার ফের ফিরে যায় সমুদ্রে মাছ ধরতে। এদিকে মৎস্যজীবীদের সংগঠনের প্রধান দামোদর টান্ডেল সেটিকে ক্রেনে করে তীরে বালির ওপর এনে রাখেন। বহু মানুষ হাজির হন সেখানে। এত বড় হাঙর তাঁরা দেখেননি। ফলে হৈচৈ পড়ে যায়। অনেকেই মাছটির সঙ্গে সেলফি তোলেন।
দামোদর টান্ডেল জানিয়েছেন, লম্বায় ২৬ ফুট, সারা গায়ে সাদা ফুটকি থাকা ২ হাজার কেজি ওজনের মাছটি এক বিক্রেতা কিনেছেন। তিনি সেটি থেকে প্রয়োজনীয় তেল বার করে বাকি অংশ ফেলে দেবেন। মুম্বইয়ের সমুদ্রতটে এর আগে মৃত তিমি এসে পড়েছে। কিন্তু মৎস্যজীবীদের জালে এমন এক অতিকায় হাঙর ধরা পড়ার ঘটনা এর আগে ঘটেনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা