রাস্তায় কর্মরত তরুণী পুলিশ অফিসার, সন্দেহ হতেই বেরিয়ে এল সত্যিটা
রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাজে কর্তব্যরত এক মহিলা এএসআই। কিন্তু কেমন যেন সন্দেহ হয় এক কনস্টেবলের। তারপরই সামনে আসে সত্যিটা।
নয়াদিল্লি : করোনা আইন ভাঙলে পুলিশের কোপে পড়তে হচ্ছে পথচলতি মানুষকে। তেমনই পথ চলতি কোভিড আইন ভঙ্গকারী ব্যক্তিদের ধরে ধরে চালান কাটছিল এক তরুণী পুলিশ আধিকারিক। এএসআই পদের ওই তরুণীকে দেখতে পান সেখানে টহলরত এক কনস্টেবল। প্রাথমিকভাবে কিছু মনে না হলেও পরে তাঁর একটা বিষয়ে খটকা লাগে। যে কোভিড আইন ভঙ্গকারীদের চালান কেটে দিচ্ছে অর্থাৎ জরিমানা করছে, সে নিজেই মুখে মাস্ক না পরে আছে? এমনটা তো হওয়ার কথা নয়। দিল্লি পুলিশের সকলেই মুখে মাস্ক রাখছেন।
দিল্লির তিলক নগরের রাস্তায় তখন ওই তরুণী এএসআই কিন্তু তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলেই দেখেন সকলে। নিজের সন্দেহের কথা ওই কনস্টেবল তিলক নগর পুলিশ স্টেশনের আর এক কনস্টেবলকে জানান। ওই কনস্টেবল খবর পেয়ে সোজা হাজির হন ওই তরুণীর সামনে। মুখে মাস্ক না পরেই সেখানে হাজির হন তিনি। ইচ্ছা করেই তা করেন। তাঁকে দেখে ওই তরুণী পুলিশ আধিকারিক তাঁর পথ আটকায়। তারপর মুখে মাস্ক না পড়ার জন্য জরিমানার টাকা বার করতে বলে।
ওই কনস্টেবল জরিমানার টাকা বার করার বদলে এবার ওই তরুণীকে জিজ্ঞাসা করেন সে কোন থানায় কর্মরত। তরুণী তাঁকে জানায় সে তিলক নগর থানায় রয়েছে। কনস্টেবল অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করেন তিনি তাকে তো থানায় দেখেননি। এটা বলার পরই কিছুটা ঘাবড়ে যায় ওই বছর ২০-র তরুণী। এবার ওই কনস্টেবল তরুণীকে তার পরিচয়পত্র বার করতে বলেন। কিন্তু তেমন কোনও আই কার্ড তরুণী দেখাতে পারেনি।
তারপরই ওই তরুণীকে আটক করে পুলিশ। তামান্না জাহান নামে ওই তরুণী শিব বিহার এলাকার বাসিন্দা। সে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে যে পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় সে এ কাজ করেছে। তার কাছ থেকে একটি ভুয়ো চালানের বই, নগদ ৮০০ টাকা ও একটি পুলিশের ইউনিফর্ম বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলাও রুজু হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা