জলের তলায় নিজামের শহর, উদ্ধারে নামল চপার
জলের তলায় চলে গেল নিজামের শহর হায়দরাবাদ। বিরামহীন বৃষ্টিতে শহর এখন কার্যত জলাধারের চেহারা নিয়েছে।
হায়দরাবাদ : শহরটা এখন দেখে বোঝার উপায় নেই যে তা শহর না একটা বিশাল জলাধার। ভেনিসের চেহারা নিয়েছে শহরের অধিকাংশ রাস্তা। হাইটেক শহরের এমন দুরবস্থার কারণ একটানা বৃষ্টি। তাও আবার কার্যত বিরামহীন। কখনও সামান্য একটু কমেছে, আবার কখনও ঝেঁপে এসেছে। যা চলছে ৩ দিন ধরে। আরও আগামী ৩ দিনের জন্য এমনই চলবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। সেক্ষেত্রে কী পরিস্থিতি দাঁড়াতে চলেছে তা এখন কল্পনা করতে পারছেন না কেউই।
হায়দরাবাদ শহর যেমন জলের তলায়, তেমনই হায়দরাবাদের আশপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলের তলায় চলে গেছে। বহু গ্রাম জলের নিচে হারিয়েছে। আশপাশে যত ছোট ও মাঝারি নদী রয়েছে তার সবকটি এখন ফুঁসছে। আপাত নিরীহ সেসব নদী এখন ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। জল ২ কুল ছাপিয়ে হুহু করে গ্রামে, শহরে ঢুকতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় আকার নিয়েছে যে ২টি চপার উদ্ধার কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। আকাশপথে চলছে উদ্ধারকাজ।
এনডিআরএফ উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। শহরে যেমন মানুষ কার্যত গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন, তেমনই গ্রামগুলি জলের তলায় চলে যাওয়ায় বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করা হচ্ছে। ১০ জন কৃষককে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচিয়ে এনেছে চপার। জলও বিভিন্ন জায়গায় ভয়ংকর স্রোতে বইছে। তাণ্ডবে মেতে ওঠা দামাল জলের তোড়ে সিদ্দিপেট এলাকায় একটি আস্ত ট্রাক খড়কুটোর মত ভেসে গেছে।
মুখ্যমন্ত্রী নিজে পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। কদিন আগেই জয়পুর শহর টানা ১২ ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলের তলায় চলে গিয়েছিল। এমন প্রবল বৃষ্টি জয়পুর বহুকাল দেখেনি। এভাবে জয়পুরের মত শহরকে জলের তলায় বড় একটা যেতে দেখা যায়না। দেশের ৬টি রাজ্য এখন বন্যা সামলাতে ব্যস্ত। লক্ষ লক্ষ মানুষ সেখানে গৃহহীন। গবাদি পশু থেকে জমি ভরা ফসল জলের তলায় হারিয়ে গেছে। প্রচুর গ্রাম জলের তলায় হারিয়ে গেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা