National

ভাইরাসকে তাড়া করো, ফিলিপিন্সকে পথ দেখাল মুম্বইয়ের ধারাবি

ধারাবি মডেল নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। এবার সেই ধারাবি মডেল অনুসরণ করতে চলেছে ফিলিপিন্স সরকার।

মুম্বই : করোনা ছড়াতে শুরু করার পর বড় চিন্তা ছিল ঘিঞ্জি বস্তি ধারাবি নিয়ে। এশিয়ার বৃহত্তম বস্তিতে এই রোগ ছড়াবে না তো? আর ছড়াতে থাকলে ওই ঘিঞ্জি জায়গায় রোগে লাগাম দেওয়া কতটা সম্ভব? এ সব চিন্তার মধ্যেই আশঙ্কা সত্যি করে ধারাবিতে ছড়াতে শুরু করে করোনা। গোটা বস্তি ঘিরে ফেলে বৃহন্মুম্বই পুরসভা। তারপর শুরু হয় কন্টাক্ট ট্রেসিং-এর মাধ্যমে করোনাকে তাড়া-র নীতি। ধারাবিকে এই করোনাকে তাড়ার পদ্ধতি মেনেই করোনা ছাড়া করা হয়।

জুনের শেষেই মোটামুটি ধারাবিকে পরিস্কার করে ফেলা হয়। বস্তির মত ঘিঞ্জি এলাকায় করোনাকে শায়েস্তা করার এই পদ্ধতি দেশ তো বটেই গোটি বিশ্বে সমাদৃত হয়। খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু পর্যন্ত ধারাবি মডেলের প্রসঙ্গ টেনে তার ভূয়সী প্রশংসা করে। ধারাবি মডেল অনুসরণ করারও পরামর্শ দেওয়া হয়। ধারাবি মডেলের প্রশংসা যখন সর্বত্র তখন সেই মডেল কাজে লাগিয়েই দেশের বিভিন্ন ঘিঞ্জি বস্তি এলাকা থেকে করোনা তাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে ফিলিপিন্স।


ফিলিপিন্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রক ইতিমধ্যেই বৃহন্মুম্বই পুরসভার সঙ্গে কথা বলেছে। প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়েছে। কীভাবে তারা ধারাবি মডেল নিয়ে এগোবে তার সম্পূর্ণ রূপরেখা তারা বৃহন্মুম্বই পুরসভার কাছ থেকে জেনে নিয়েছে। প্রসঙ্গত ফিলিপিন্সের রাজধানী শহর ম্যানিলাতেই রয়েছে ঘিঞ্জি বস্তি। তাছাড়াও ফিলিপিন্সের বিভিন্ন জায়গায় বস্তি রয়েছে। যা অত্যন্ত ঘিঞ্জি। সেখান থেকে করোনা দূর করতে ধারাবি মডেল কাজে লাগাতে চলেছে ফিলিপিন্স।

ফিলিপিন্স বেশ কিছু দ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা একটা দেশ। যাদের পুরো জমির পরিমাণ ২.৯৮ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার। সেখানে মহারাষ্ট্রের মোট জমি ৩.০৭ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার। ফলে মহারাষ্ট্র ফিলিপিন্সের চেয়ে সামান্য বড়। আবার ফিলিপিন্সের মোট বাসিন্দার সংখ্যা ১০.১ কোটি। সেখানে মহারাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যা ১১.৫ কোটি। এক মহারাষ্ট্রই জমি বা বাসিন্দার নিরিখে ফিলিপিন্সের চেয়ে বড়। সেখান থেকে করোনা দূর করতে এবার ধারাবিকে মডেল মেনে এগোচ্ছে এই পূর্ব এশিয়ার দেশটি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button