রাতে থানায় ডেকে নাচতে বলেন ইন্সপেক্টর, গুরুতর অভিযোগ কিশোরীর
এফআইআর নেওয়া হবে। কিন্তু তার আগে তাঁর সামনে নেচে দেখাতে হবে। ১৬ বছরের কিশোরীর অভিযোগ এক ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে।

কানপুর (উত্তরপ্রদেশ) : বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকে কিশোরীর পরিবার। সেই বাড়ির মালকিন তাদের ওই বাড়ি থেকে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য গত ২৬ জুলাই তাদের ঘরে কয়েকজন দুষ্কৃতিকে পাঠায়। তারা এসে বাড়িতে ভয় দেখিয়ে যায়। এরপর ৭ অগাস্ট ওই কিশোরী যখন বাড়ি ফিরছিল তখন মালকিনের ভাইপো তার ওপর চড়াও হয়। তার শ্লীলতাহানি করে। এই অভিযোগ নিয়েই থানায় হাজির হয়েছিল কিশোরীর পরিবার।
কিশোরীর অভিযোগ, পুলিশের কাছে যাওয়ার পর তাকে রাত ১২টা নাগাদ থানায় ডেকে পাঠান থানার ইন্সপেক্টর। তারপর তাকে তাঁর সামনে নাচতে বলেন। এমনই গুরুতর অভিযোগ সামনে এনেছে এক ১৬ বছরের কিশোরী। তার দাবি, ইন্সপেক্টর তাকে সাফ জানিয়েছিলেন তার কথা তখনই শুনবেন, এফআইআর হবে, যদি সে ইন্সপেক্টরের সামনে তখন নাচে। কিশোরীর দাবি, তার পক্ষে থানায় এভাবে ইন্সপেক্টরের সামনে নাচা সম্ভব হয়নি। তার আরও অভিযোগ তার ছোট ছোট ভাইদের ওপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে।
এই পুরো অভিযোগ করে কিশোরী একটি ভিডিও সোশ্যাল সাইটে আপলোড করে। কান্না ভেজা গলায় তাদের পরিবারের কথা শোনার জন্য কিশোরীর ওই আকুতি ভরা ভিডিও দ্রুত ভাইরাল হয়। ওই কিশোরী ও তার পরিবার উত্তরপ্রদেশের কানপুরের দাবাউলি এলাকায় ভাড়া থাকেন। এই এলাকা গোবিন্দ নগর পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত। ওই পুলিশ স্টেশনেরই এক ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ওই কিশোরী। ঘটনাটি সামনে আসার পর শোরগোল পড়ে গেছে।
ঘটনা সামনে আসার পর পুলিশের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে ওই কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকাকে কেন্দ্র করে মালকিনের পরিবারের অশান্তি রয়েছে। পুলিশের পাল্টা দাবি ওই কিশোরী যে অভিযোগ করেছে তার কোনও সারবত্তা নেই। পুলিশের ওপর চাপ তৈরি করার জন্যই ওই কিশোরী এমন একটি ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল সাইটে আপলোড করেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। যদিও যাবতীয় বিতর্ক এড়াতে পুলিশ যে কিশোরীর অভিযোগের তদন্ত করছে তাও জানানো হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা