জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন, পাতাল থেকে বার হল ৯টি দেহ
জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন লেগে মৃত্যু হল ৯ জনের। যাঁদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারও রয়েছেন।
হায়দরাবাদ : রাতেই আগুনটা লাগে। দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে টানেলে। জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাটির তলায় থাকা সেই টানেলে তখন কাজ চলছিল। কাজ করছিলেন ইঞ্জিনিয়ার সহ অন্য কর্মী ও ব্যাটারি সংস্থার কর্মীরা। সেই সময় আগুন লাগে। ওই অবস্থা থেকে বেঁচে ফেরা ১ জন জানাচ্ছেন, প্রথমে একটি প্যানেলে আগুন জ্বলে ওঠে। তারপর তা থেকে পরপর বিস্ফোরণ হতে থাকে প্যানেলে। আগুন ধরে যায়। টানেলের মধ্যে তা দ্রুত ছড়াতে সময় নেয়নি।
৩০ জনের মত কাজ করছিলেন সেখানে। তার মধ্যে ১৫ জন বিভিন্ন দিক থেকে কোনওক্রমে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। কিন্তু বাকিরা পারেননি। এদিকে আগুন একটি টানেলে লাগায় সেখানে দমকলকর্মীরাও কিছুতেই পৌঁছতে পারছিলেননা। আগুন নেভানোর চেষ্টা তাঁরা করতে থাকেন। কিন্তু আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা অসম্ভব ছিল। তার মধ্যে মাটির তলায় সেই অংশ পুরু ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়।
আটকে পড়া ৬ জনকে কোনওক্রমে আহত অবস্থায় দমকলকর্মীরা উদ্ধার করতে পারলেও বাকি ৯ জনের হদিশ মিলছিল না। এদিকে আগুনের লেলিহান শিখা অনেক চেষ্টার পরও নেভার নাম করছিল না। বেশ কয়েকজন দমকলকর্মী আগুন নেভাতে গিয়ে পাতালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবশেষে যখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে তখন দমকলকর্মীরা ভিতরে ঢুকে এক এক করে বার করে আনেন আটকে থাকা ৯ জনকে। বলা ভাল ৯ জনের দেহ। কারণ ততক্ষণে তাঁদের আগুন ও ধোঁয়ায় মৃত্যু হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে শর্টসার্কিট থেকেই এই বিধ্বংসী আগুন বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণা নদীর ওপর নির্মিত শ্রীশৈলম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে গোটা দিন লেগে যায়। পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে হিমসিম খেতে হয় দমকলকে। এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ব্যক্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা