National

স্বামী ভীষণ ভালবাসেন, সবসময় পাশে থাকেন, ডিভোর্স চেয়ে আদালতে স্ত্রী

স্বামী কেন তাঁকে এত ভালবাসেন? অতিষ্ঠ হয়ে এবার আদালতে গেলেন স্ত্রী। চাইলেন ডিভোর্স।

সম্ভল (উত্তরপ্রদেশ) : বিয়ে হয়েছে ১৮ মাস। সব মেয়েই চান স্বামী তাঁকে যেন ভালবাসেন। বিয়ের পর তরুণী বুঝতে পারেন তাঁর স্বামী তাঁকে ভীষণ ভালবাসেন। এমনকি তিনি কিছু ভুল করে ফেললেও তাঁকে এতটুকু গঞ্জনা দেন না। বরং তাঁকেই বোঝান যেন তিনি বিষয়টি মনে না রাখেন। এমনটা হতেই পারে। এজন্য মন খারাপ করার কিছুই নেই। ১৮ মাস বিয়ে হয়ে গেছে। একটা দিনের জন্য তাঁর সঙ্গে উঁচু গলায় কথা পর্যন্ত বলেননি তাঁর স্বামী।

শুধু কী তাই! তাঁর স্বামী তাঁকে বাড়ির কাজেও সবসময় সাহায্য করেন। পাশে থাকেন। তাঁর এতটুকু সমস্যাও স্বামী সহ্য করতে পারেননা। আর ঝগড়া! সে বস্তুটি কি সেটাই তো তিনি ভুলতে বসেছেন। কারণ তাঁর স্বামী তাঁর সঙ্গে ঝগড়াও করেননা। কোনও কিছুতেই তাঁর রাগ নেই। স্ত্রীকে কোনও ভাবেই কোনও কষ্ট দিতে নারাজ তিনি। সতর্কও বটে। এমন এক স্বামী পাওয়ার জন্য অনেক ব্রতও পালন করেন মেয়েরা। কিন্তু এমন স্বামী পেয়েও ওই তরুণী এখন অতিষ্ঠ।


১৮ মাসের বিবাহিত জীবন এবার শেষ করতে চেয়ে তিনি দ্বারস্থ হন শরিয়া আদালতের। মুসলিম ওই তরুণী আদালতের কাছে জানিয়েছেন তাঁর স্বামী তাঁর সঙ্গে ঝগড়া করেননা। তাঁকে সবসময় খুশি রাখার চেষ্টা করেন। পাশে থাকেন। এমন স্বামী তাঁর চাই না। স্বামীর এই নিরবচ্ছিন্ন ভালবাসায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন তিনি। তাঁর দমবন্ধ হয়ে আসে স্বামীর এই নির্ভেজাল ভালবাসায়। এই জীবন থেকে মুক্তি চান তিনি। তিনি অবিলম্বে ডিভোর্স চান।

শরিয়া আদালত অবশ্য সব শোনার পর তাদের তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে এই ডিভোর্স মঞ্জুর করা সম্ভব নয়। এমন বিষয়কে তুলে ধরে ডিভোর্স চাওয়াকে ছেলেমানুষি হলে ব্যাখ্যা করেছে আদালত। বিষয়টি বরং নিজেদের মধ্যে কথা বলে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে শরিয়া আদালত।


এদিকে শরিয়া আদালতে বিফল হয়ে ওই তরুণী স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হন। কিন্তু পঞ্চায়েতও সাফ জানিয়ে দিয়েছে এই বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই। ওই তরুণীর স্বামী জানিয়েছেন তিনি তাঁর স্ত্রীকে ভীষণ ভালবাসেন। তিনি তাঁকে কোনও রকম কষ্ট দিতে নারাজ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button