National

১৪ মাসের মধ্যে ৮টি কন্যার জন্ম দিলেন ৬৫ বছরের মহিলা

মাত্র ১৪ মাসের মধ্যে ৮টি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক মহিলা। তাঁর বয়স আবার ৬৫ বছর।

পাটনা : এক বছর ২ মাসের মধ্যে ৮টি সন্তান প্রসব করেছেন তিনি! আর সব সন্তানই কন্যা! যিনি জন্ম দিয়েছেন তাঁর বয়স আবার ৬৫ বছর। নাম লীলাদেবী। বিহারের মুজফ্ফরপুরের বাসিন্দা। এই বয়সে সন্তানের জন্ম দেওয়াই কী সম্ভব? আর যদি তা হয়ও তাহলেও কী ১৪ মাসে ৮ সন্তানের জন্ম দেওয়া যায়? প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বিভিন্ন মহলে। আর এই প্রশ্ন ওঠার মধ্যেই আরও একটি খবর সামনে আসে। সনিয়াদেবী নামে এক মহিলাও নাকি মাত্র ৯ মাসের মধ্যে ৫ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন! ৫ সন্তানই কন্যা সন্তান!

লীলাদেবী এবং সনিয়াদেবীর কাহিনি ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি। বিষয়টি সামনে আসতে টনক নড়ে প্রশাসনের। কীভাবে সম্ভব এটা? বাস্তবে এত কম সময়ে এত সন্তানের জন্ম দেওয়া তো অসম্ভব! তাহলে এঁদের ক্ষেত্রে তা সম্ভব হল কীভাবে? বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। আর তাতেই বেরিয়ে আসে সত্যটা।


জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের আওতায় এখন কন্যা সন্তানের জন্ম দিলে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের থেকে উৎসাহ ভাতা পাওয়া যায়। কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়ে এই অর্থ পেয়ে থাকেন মায়েরা। প্রতি কন্যার জন্ম দিলে মেলে ১ হাজার ৪০০ টাকা করে। দেখা যাচ্ছে লীলাদেবী ও সনিয়াদেবী ২ জনই তাঁদের যথাক্রমে ৮ ও ৫ কন্যা সন্তানের জন্য এই অর্থ সরকারের ঘর থেকে পেয়েছেন। উৎসাহ ভাতার পুরো টাকাই তাঁরা পেয়ে গেছেন।

সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, আদপে এঁদের কোনও কন্যা সন্তানই জন্মায়নি। এঁরা কেবল কাগজেকলমে মা হয়েছেন। আর প্রতিবারই মা হয়েছেন কন্যা সন্তানের। ফলে ১৪ মাসে ৮ সন্তান বা ৯ মাসে ৫ সন্তান কেন ওটা আরও বেশি হতেই পারত। কারণ বাস্তবে এমন কোনও কন্যাই ভূমিষ্ঠ হয়নি। কাগজেকলমে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে দেখিয়ে উৎসাহ ভাতা-র টাকা সরকারের কাছে থেকে আদায় করেছেন এঁরা বলে অভিযোগ উঠেছে।


মুজফ্ফরপুরের জেলাশাসক চন্দ্রশেখর সিং উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে যা মনে হচ্ছে তাতে এটি একটি বড় ধরনের দুর্নীতি। যার সঙ্গে সরকারি আধিকারিকদেরও যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন চন্দ্রশেখর সিং। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button