তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ল ৫ তলা বাড়ি, চাপা পড়লেন বহু মানুষ
৫ তলা একটা বাড়ি তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ল চোখের সামনে। বাড়িতে শতাধিক মানুষের বাস ছিল।
রায়গড় (মহারাষ্ট্র) : ৫ তলা বাড়িটায় ছিল ৪৫টি ফ্ল্যাট। সব ভর্তি। সব ফ্ল্যাটেই পরিবারের বাস। ফলে ওই ৫ তলা বাড়িটিতে শতাধিক মানুষ বসবাস করতেন। সেই ৫ তলা বাড়িটি সোমবার সন্ধে ৭টা নাগাদ তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ল। এভাবে একটা আস্ত বাড়ি ভেঙে পড়তে দেখে কার্যত হতভম্ব হয়ে যান সকলে। ছুটোছুটিও শুরু হয়ে যায়। আতঙ্কে বহু মানুষ ছুটে পালাতে থাকেন। এলাকা জুড়ে এক ধুলোর বিশাল কুণ্ডলী ওঠে। যা এলাকাকে ধুলোয় ঢেকে দেয়। এদিকে বাড়িটি এত দ্রুত হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে যে সেখান থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে বেরিয়ে আসার মত সময় বাসিন্দারা পাননি। তাঁরা বাড়ির ধসের মধ্যেই আটকে পড়েন।
১৫ জনকে দ্রুত উদ্ধার সম্ভব হলেও ৭৫ জনকে রাত পর্যন্ত বার করে ওঠা যায়নি। বিশাল ধ্বংসস্তূপের তলায় হারিয়ে যান তাঁরা। ওই স্তূপ সরিয়ে তাঁদের বার করে আনা কঠিন কাজ উদ্ধারকারীদের জন্য। সোমবার বিকেলে এই ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলার উপকূলীয় শহর মাহাদের কাজলপুরা এলাকায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে একটানা বৃষ্টির জেরে পুরনো বাড়িটি ধসে পড়ে।
ঘটনার পরই উদ্ধারকাজ শুরু হয়। কিন্তু পাঁচতলা একটা বাড়ির ধ্বংসস্তূপ যে বিপুল আকার নেয় তা সরানো সহজ যে নয় তা মেনে নিচ্ছেন সকলেই। ঘটনার পর আশপাশের বহু মানুষ ঘটনাস্থলে হাজির হন। কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমে যায়। স্থানীয়রাও স্তূপের তলায় আটকে পড়া মানুষজনকে বার করার চেষ্টা চালান। এরমধ্যেই ৪ ঘণ্টার রাস্তা অতিক্রম করে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছয় এনডিআরএফ। তারা পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে।
এই ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে ব্যাখ্যা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি উদ্ধারে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখছেন বলে জানান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। বর্ষার জন্য বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা ভারতে অবশ্য নতুন নয়। প্রতি বছরই এমন ঘটনা নজর কাড়ে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা