উঠে আসছিল অনেকগুলো নাম। কখনও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, কখনও উত্তরপ্রদেশ বিজেপির সভাপতি কেশব মৌর্য তো কখনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোজ সিনহা। কিন্তু সেই তালিকায় লতায় পাতায় কোথাও নাম ছিলনা যোগী আদিত্যনাথের। বিজেপির অনেক তাবড় নেতাও ভাবতে পারেননি ৪৪ বছরের এই কট্টর হিন্দুত্ববাদী হিসাবে পরিচিত গোরক্ষপুরের সাংসদ কোনওভাবে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। কিন্তু সেটাই হল। সব হিসেবনিকেশ ওলটপালট করে সকলকে হতবাক করে দিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ৫ বারের সাংসদ যোগী আদিত্যনাথের নাম ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু। বরাবর হিন্দুত্ববাদী কথা বলে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন আদিত্যনাথ। বারবার বেফাঁস কথার জেরে জড়িয়েছেন বিতর্কে। কিন্তু বিতর্কিত মন্তব্য করতে কখনও পিছপা হননি। আপাতত তিনিই উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে। যোগী আদিত্যনাথের জন্ম উত্তরাখণ্ডে এক রাজপুত পরিবারে। পিতৃদত্ত নাম ছিল অজয় সিং। ১৯৭২ সালের ৫ জুন জন্মগ্রহণ করা আদিত্যনাথের পড়াশোনা বিজ্ঞান নিয়ে। গাড়োয়াল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক যোগী আদিত্যনাথ খুব কম বয়সেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ২৬ বছর বয়সে দ্বাদশ লোকসভায় সাংসদ হিসাবে দিল্লির রাজনীতিতে পা দেন তিনি। সর্বকনিষ্ঠ সাংসদের রেকর্ডও গড়েন। তখনও তাঁর আসন ছিল গোরক্ষপুর। তারপর ৫ বার উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর থেকেই সহজ জয় পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। পরনে গেরুয়া পোশাক, মাথা-গোঁফ-দাড়ি কামানো যোগী আদিত্যনাথ উত্তরপ্রদেশ রাজনীতির পরিচিত মুখ। উত্তরপ্রদেশে ঝোড়ো জয়ের পর শনিবার বিকেলে বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকে নবনির্বাচিত বিধায়কেরা একবাক্যে যোগী আদিত্যনাথের নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সমর্থন করেন। ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায় তাঁর নাম। এদিকে ঘর সামলাতে কেশব মৌর্য ও দীনেশ শর্মাকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নিতে পারে বিজেপি। রবিবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন যোগী আদিত্যনাথ। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।