শরীরে স্বস্তি, পথে অস্বস্তি বাড়িয়ে বানভাসি রাজধানী
প্রবল বৃষ্টিতে শুধু ভিজল না, কার্যত ভেসে গেল দিল্লি। অনেক রাস্তাই জলের তলায় চলে গেছে। দুর্ভোগ চরমে।
নয়াদিল্লি : কলকাতায় মেঘ কেটে শুক্রবার সূর্য উঠেছে। আর রাজধানী দিল্লি কালো মেঘে ছেয়ে প্রবল বৃষ্টির কবলে পড়েছে। দিল্লিতে গত কয়েকদিন ধরেই একটা ভ্যাপসা গরম আর প্যাচপ্যাচে ঘাম কষ্ট দিচ্ছিল। চরম অস্বস্তিকর একটা গরমে প্রাণান্তকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তারমধ্যেই আনলক পর্বে কাজকর্ম চলছিল। অবশেষে শুক্রবার মেঘ দেখে স্বস্তি পান দিল্লিবাসী। বৃষ্টি শুরু হতে পারদও আস্তে আস্তে নামতে থাকে। স্বস্তি ফিরতে থাকে দেহে। শরীর জুড়োতে থাকে ঠান্ডা বৃষ্টি ভেজা বাতাসে।
দিল্লিবাসীর জন্য এই স্বস্তি যেমন এদিনের বৃষ্টি নিয়ে এসেছে তেমনই অস্বস্তিও ডেকে এনেছে। প্রবল বৃষ্টিতে ক্রমশ দিল্লির রাস্তাঘাট জলের তলায় চলে যেতে থাকে। যা ঘরের বাইরে থাকা মানুষজনের কপালে অশনি সংকেত হয়ে দেখা দেয়। এদিকে প্রবল বৃষ্টি চলতেই থাকে। দিল্লি জলে ভরতেই থাকে। বিশেষত নিচু এলাকাগুলো জলের তলায় চলে যায়। অনেক রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়। কারণ জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় সেখান দিয়ে গাড়ি চালানো অসম্ভব ছিল।
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে জয়পুর শহর জলের তলায় চলে গিয়েছিল। একই পরিস্থিতি হয় হায়দরাবাদেও। মুম্বই-এর তো প্রবল বৃষ্টিতে শহর বানভাসি হওয়ার খ্যাতি অনেক আগে থেকেই রয়েছে। কিছুদিন আগে দিল্লিও জলের তলায় চলে গিয়েছিল। তারপর গেল শুক্রবার। আবহাওয়া দফতর অবশ্য গত বৃহস্পতিবারই সতর্ক করেছিল যে উত্তর ও মধ্য ভারতের অনেক জায়গায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যা এই সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত বহাল থাকবে। তারই ঝলক দেখা গেল দিল্লিতে।
পূর্ব মধ্যপ্রদেশ ও উত্তর ছত্তিসগড়ের ওপর একটি গভীর নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থান করছে। তার জেরেই এই বৃষ্টি। দিল্লিতে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে। তবে তা সপ্তাহের শেষে হলে রাস্তায় মানুষজন কম থাকবেন। এদিকে এদিন প্রবল বৃষ্টিতে দিল্লি জুড়ে প্রবল যানজটের সৃষ্টি হয়। গাড়ির লাইন পড়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকে থাকেন অনেকে। জলের ওপর গাড়ির লাইনে পরিস্থিতি শোচনীয় আকার নেয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা