করোনাকে হারিয়ে ঘরে ফিরলেন ১১০ বছরের বৃদ্ধা
করোনা যেখানে অনেক কম বয়সীর প্রাণ কাড়ছে সেখানে ১১০ বছরের বৃদ্ধা সুস্থও হয়ে উঠছেন।
মলপ্পুরম (কেরালা) : গত ১৮ অগাস্ট তিনি তাঁর মেয়ের সংস্পর্শে আসেন। যিনি করোনার শিকার ছিলেন। মনে করা হচ্ছে মেয়ের থেকেই তিনি সংক্রমিত হন। ১১০ বছর বয়সে করোনা সংক্রমণ। মোটামুটি পরিবারের সকলে তো বটেই, এমনকি চিকিৎসকেরাও প্রমাদ গুনছিলেন। এই বয়সে কাউকে করোনা থেকে ফেরানো অবশ্যই কঠিনতম কাজ। ভরসা ছিল একটাই। তার আগেই কেরালার ১০৫ এবং ১০৩ বছরের ২ বৃদ্ধকে করোনা সংক্রমণের পরেও সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়েছিল।
কেরালার ১১০ বছরের বৃদ্ধা পাথু-র চিকিৎসা শুরু হয়। তাঁকে আইসোলেশনে নিয়ে শুরু হয় চিকিৎসা। ক্রমে সুস্থ হয়ে উঠতে থাকেন তিনি। অবশেষে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ থেকে নেগেটিভ হল। পাথু-র করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ায় তিনি এখন অনেক সুস্থ। যা চিকিৎসকদের তো খুশি করেছে, সেইসঙ্গে পরিবারকেও নিশ্চিন্ত করেছে। একইসঙ্গে একটা বড় বার্তা পৌঁছে গেছে সমাজের সকলের কাছে।
পাথু নামের ওই ১১০ বছরের বৃদ্ধার করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা একটা বার্তা স্পষ্ট করল যে করোনাকে ভয় না পেয়ে তার সঙ্গে লড়াই করা প্রয়োজন। করোনা সেরে যায়। ১১০ বছরের পাথু যদি পারেন তাহলে অনেকেই পারবেন। কেরালায় অবশ্য এর আগেও দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে। নজির গড়েছেন ১০৫ ও ১০৩ বছরের ২ বৃদ্ধ। তাঁরাও করোনার শিকার হওয়ার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাড়িতে সুস্থ জীবন কাটাচ্ছেন।
পাথু সুস্থ হলেও চিকিৎসকেরা কিন্তু তাঁকে নজরে রাখছেন। তাঁর ১১০ বছর বয়সটা তার হয়তো একটা বড় কারণ। তিনি আপাতত বাড়িতেই রয়েছেন। তবে তাঁকে কঠোর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। কেরালার স্বাস্থ্য দফতর তাঁর খোঁজ নিচ্ছে। নেগেটিভ হলেও বেশ কিছুদিন তাঁকে নজরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
প্রসঙ্গত কেরালাই ভারতের সেই রাজ্য যেখানে দেশের প্রথম করোনা রোগীর খোঁজ মেলে। কেরালায় প্রায় ৭০ হাজার করোনা রোগীর খোঁজ মিলেছে। মৃত্যু হয়েছে ২৭৪ জনের। কেরালায় রোগী মৃত্যু অনেকটা কম। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা