ফের যে কে সেই, ৭৮ হাজার পার নতুন রোগী, ১ হাজার পার মৃত্যু
১ সেপ্টেম্বর ৭০ হাজারের নিচে গিয়েছিল সংক্রমণ। কমেছিল মৃত্যু। কিন্তু ওই একদিনই। তারপর এদিন ফের যে কে সেই!
নয়াদিল্লি : দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা অগাস্টের শেষে শিউরে ওঠার মত বেড়েছে। আমেরিকা, ব্রাজিলেও দৈনিক সংক্রমণ ভারতের চেয়ে অনেক কম। ক্রমশ ভারতে দৈনিক সংক্রমণ ৮০ হাজারের কাছে পৌঁছে যাচ্ছিল। কিন্তু সেই প্রবণতা সেপ্টেম্বরের প্রথম দিনে ধাক্কা খায়। একদিনে ৭০ হাজারের নিচে নামে সংক্রমণ। কমে মৃত্যু। কিন্তু ওই এক দিনই। তারপর ফের গত একদিনে পুরনো ছবি সামনে এল। গত একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮ হাজার ৩৫৭ জন। গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ লক্ষ ১২ হাজার ৩৬৭টি।
রোগী বৃদ্ধির সংখ্যার পর দেশে এখন মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৭ লক্ষ পার করে গেছে। সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৩৭ লক্ষ ৬৯ হাজার ৫২৩ জন। দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা লম্বা লাফ দিয়েছে। দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা এদিন ৮ লক্ষ পার করে গেছে। দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লক্ষ ১ হাজার ২৮২ জন।
দেশে যখন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তখন বাড়ছে করোনায় মৃত্যুও। মৃতের সংখ্যা এদিন ফের ১ হাজার পার করেছে। গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪৫ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে বর্তমানে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৬৬ হাজার পরা করেছে। দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজার ৩৩৩ জন।
দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের অবস্থা এখনও সবচেয়ে খারাপ। দীর্ঘদিন পর সেখানে একদিনে মৃত্যু ২০০-র ঘরের নিচে নেমেছিল আগের দিন। কিন্তু তা ফের বেড়ে গত একদিনে দাঁড়িয়েছে ৩২০ জন। কর্ণাটকে মৃত্যু হয়েছে ১৩৫ জনের। তামিলনাড়ুতে গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৯৬ জনের। অন্ধ্রপ্রদেশে ৮৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। দেশে করোনায় মৃত্যুর হার কমে দাঁড়িয়েছে ১.৭৮ শতাংশে।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত একদিনে দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬২ হাজার ২৬ জন। এর ফলে দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা ২৯ লক্ষ পার করে গেল। সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ২৯ লক্ষ ১ হাজার ৯০৮ জনে। দেশে সুস্থতার হার প্রায় ৭৭ শতাংশের কাছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা