একই রইল পরিস্থিতি, ৮৩ হাজারে নতুন রোগী, হাজারের ওপর মৃত্যু
দেশে একদিনে সংক্রমণ ৮৩ হাজার পার করেছিল আগের দিনই। এদিনও সেই একই ছবি রয়ে গেল।
নয়াদিল্লি : দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা অগাস্টের শেষে শিউরে ওঠার মত বেড়েছে। আমেরিকা, ব্রাজিলেও দৈনিক সংক্রমণ ভারতের চেয়ে অনেক কম। দৈনিক সংক্রমণে প্রায় ১ মাস হতে চলল ভারতই শীর্ষে রয়েছে। গত ২ দিনে আবার ভারতে দৈনিক সংক্রমণ ৮৩ হাজার পার করেছে।
গত একদিনে দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার ৩৪১ জন। গত ২ দিনে ১১ লক্ষের ওপর নমুনা পরীক্ষাও হয়েছে দেশে। গত একদিনে ১১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭৬৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে দেশে। নমুনা পরীক্ষা বাড়তেই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
রোগী বৃদ্ধির সংখ্যার পর দেশে এখন মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৯ লক্ষ পার করে গেছে। সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৩৯ লক্ষ ৩৬ হাজার ৭৪৭ জন। দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা লম্বা লাফ দিয়েছে। দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লক্ষ ৩১ হাজার ১২৪ জন। অ্যাকটিভ রোগী আগে কম বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কারণ সুস্থও হয়ে উঠছিলেন অনেকে। গত ২ দিনে সংক্রমণ যেভাবে বেড়েছে সেই অনুপাতে সুস্থতা বাড়েনি। ফলে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
দেশে যখন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তখন বাড়ছে করোনায় মৃত্যুও। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার পার করেছে গত ২ দিনে। গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৯৬ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে বর্তমানে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৬৮ হাজার পার করেছে। দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮ হাজার ৪৭২ জন।
দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের অবস্থা এখনও সবচেয়ে খারাপ। গত একদিনে সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৩৯১ জনের। কর্ণাটকে মৃত্যু হয়েছে ১০৪ জনের। তামিলনাড়ুতে গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৯২ জনের। অন্ধ্রপ্রদেশে ৭৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। দেশে করোনায় মৃত্যুর হার কমে দাঁড়িয়েছে ১.৭৩ শতাংশে।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত একদিনে দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৬ হাজার ৬৫৯ জন। দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা এদিন ৩০ লক্ষ পার করে গেছে। মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ লক্ষ ৩৭ হাজার ১৫১ জনে। দেশে সুস্থতার হার প্রায় ৭৭ শতাংশের কাছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা