বিষধর কালাচ সাপের ছানা চিবিয়ে খেল ১ বছরের ছেলে
শিউরে ওঠার মত ঘটনা বলে মনে হতে পারে। অতি বিষধর কালাচ সাপের ছানা চিবিয়ে খেল ১ বছরের ছেলে।
বিষয়টি নজরে পড়ে শিশুটির মায়ের। তাঁর ১ বছরের ছেলে দেবেন্দ্র কিছু একটা জিনিস মুখে পুড়েছে। আর যেটা মুখে পুড়েছে তার সামান্য অংশ মুখে বাইরে তখনও রয়েছে। মায়ের যেটা দেখে বুকটা ছ্যাঁত করে ওঠে সেটা হল তাঁর ছোট্ট ছেলের মুখ থেকে যেটা বেরিয়ে রয়েছে সেটা নড়ছে।
সময় নষ্ট না করে দ্রুত ছেলের কাছে ছুটে যান মা সোমবতী দেবী। ছেলে মুখ খোলায় হাড় হিম হয়ে যায় তাঁর। মুখের মধ্যে রয়েছে একটা ছোট্ট সাপের অনেকটা অংশ। যা তাঁর ছেলে বেশ কিছুটা চিবিয়েও ফেলেছে।
১ বছরের ছেলের কতই বা মাড়ির জোড়! কিন্তু যেটা সে চিবোতে শুরু করে সেটাও নেহাতই ছোট্ট। কালাচ সাপের ছানা। কালাচ এমন এক বিষধর সাপের প্রজাতি যা একজন মানুষের প্রাণ খুব দ্রুত কেড়ে নিতে পারে। এতই তার বিষের ক্ষমতা।
তেমন একটা সাপের ছানা হলেও তারও তো বিষ রয়েছে। ১ বছরের একটা শিশুর পক্ষে কী সেই বিষ সহ্য করা সম্ভব! মা ছেলের মুখ থেকে টেনে বার করেন চিবোনো সাপের অংশ। বাইরে বার করার পরও সাপটি কিছুটা সময় বেঁচে ছিল।
সময় নষ্ট করেনি পরিবার। দেবেন্দ্রকে কোলে তুলে বাবা ধরমপাল ও মা সোমবতী ছোটেন স্থানীয় হাসপাতালে। যাবার সময় মরা সাপটিকেও সঙ্গে নেন ধরমপাল।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দ্রুত শিশুটিকে অ্যান্টিভেনম ইঞ্জেকশন দেন চিকিৎসকেরা। শিশুটিকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখেন তাঁরা। তবে শিশুটির আর প্রাণহানির ভয় নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন কালাচ সাপের বিষ ভয়ংকর। শিশুটি ছোট্ট কালাচ চিবিয়ে ফেললেও তারও বিষ থাকে। সেই বিষ ওই শিশুটির প্রাণ কাড়তেই পারত। কিন্তু তাকে সময়মত হাসপাতালে নিয়ে আসায় সেই আশঙ্কা দূর হয়। প্রাণে বেঁচে যায় শিশুটি। কালাচের ভয়ংকর বিষের কথা মেনে নিয়েছেন বনকর্মীরাও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা