শব্দের চেয়ে ৬ গুন দ্রুত ছুটবে ক্ষেপণাস্ত্র, ভারতের মুকুটে নতুন পালক
শব্দের চেয়েও ৬ গুন দ্রুত গতির ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিল ভারত।
নয়াদিল্লি : ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ বা তা কত দূর পর্যন্ত ছুটে গিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে এটা যেমন ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতার এক বড় মাপকাঠি ছিল, তেমনই ছিল তা কত গতিতে ছুটতে পারে। এবার ভারত সেই বিশেষ হাইপারসনিক মিসাইল ক্লাবে নাম লিখিয়ে ফেলল। সেদিক থেকে সোমবারটা এক উজ্জ্বল দিন হয়ে রইল ভারতীয় প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে। ভারত এদিন তার শব্দের চেয়ে ৬ গুন দ্রুত ছোটা ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছে। যা গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
ভারতের আগে হাইপারসনিক মিসাইল প্রযুক্তি এতদিন ছিল বিশ্বের মাত্র ৩টি দেশের হাতে। আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের হাতে রয়েছে এই প্রযুক্তি। বিশ্বের মাত্র ৩টি দেশের পর ভারতই হল চতুর্থ দেশ যাদের হাতে এই শব্দের চেয়ে অনেক দ্রুত গতি সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র চলে এল। যা দেশীয় প্রযুক্তি নির্ভরও বটে। এমন এক সাফল্য কিন্তু প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে ভারতকে অনেকটা এগিয়ে রাখল।
ওড়িশার হুইলার দ্বীপের এপিজে আবদুল কালাম লঞ্চ কমপ্লেক্স থেকে সোমবার বেলা ১১টা ৩ মিনিটে হাইপারসনিক টেকনোলজি ডেমনস্ট্রেশন ভেহিকল-টি পাড়ি দেয় আকাশে। পুরো প্রক্রিয়াটি দারুণভাবে সফল হয়েছে। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও-র এই সাফল্য কিন্তু নতুন মাইলফলক তৈরি করল। এদিন সফল পরীক্ষার পর ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ডিআরডিও-কে তাদের এই সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানান।
হাইপারসনিক ক্রুজ ভেহিকলটিকে আকাশে ৩০ কিলোমিটার উপরে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি সলিড রকেট মোটর ব্যবহার করা হয়। ক্রুজ ভেহিকলটির ছুটে চলা এবং তা সঠিকভাবে তার কাজ করছে কিনা তা নজরে রাখার জন্য বঙ্গোপসাগরে মোতায়েন করা হয়েছিল ভারতীয় নৌসেনার জাহাজ। পুরো বিষয়টি তারাও নজরে রাখে। সব শেষে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে একদম নিয়ম মেনে পৌঁছে যায় ক্ষেপণাস্ত্র। সফল হয় ভারতের এই বিরল সম্মান অর্জনের পরীক্ষা। সাফল্য আসে ভারতের ঝুলিতে। ফলে প্রতিরক্ষায় ভারত এখন আরও মজবুত জায়গায় পৌঁছে গেল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা