National

মুখের মধ্যে মাটি, অর্ধেক দেহ মাটিতে পোঁতা, তবু রক্ষা পেল সদ্যোজাত

মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত ছিল। তবু কথায় বলে রাখে হরি মারে কে! এক আশ্চর্য রক্ষার সাক্ষী হলেন স্থানীয় মানুষজন।

অমরাবতী : প্রতিদিনই মাঠে ভেড়া চড়াতে যান তাঁরা। ভেড়ার পাল মহানন্দে মাঠে কচিকচি ঘাস চিবোতে থাকে। আর মেষপালকরা তাদের দেখভাল করেন। এটাই তাঁদের রোজকার কাজ, রুটিন। গত শনিবারও তাঁরা গিয়েছিলেন ভেড়ার পাল নিয়ে। ভেড়ার পাল যখন মাঠে নিজেদের মত চড়ে বেড়াচ্ছে তখন কোথা থেকে এক শিশুর ক্ষীণ কণ্ঠের কান্নার আওয়াজ কানে আসে মেষপালকদের। তাঁরা আওয়াজ লক্ষ্য করে এদিক ওদিক খুঁজতে থাকেন। আর ঠিক তখনই তাঁদের নজরে পড়ে এক কোণায় মাটির মধ্যে আধপোঁতা অবস্থায় পড়ে আছে একটি শিশু।

কাছে যেতে তাঁরা দেখেন শিশুটির শরীরের অর্ধেক মাটিতে গাঁথা। মুখের মধ্যে মাটি ভরে রয়েছে। এটা দেখার পর এক মেষপালক ছোটেন গ্রামে মহিলাদের ডাকতে। এত ছোট শিশুকে সামলানো তাঁদের কম্ম নয়। মহিলারা দ্রুত ছুটে আসেন সেখানে। শিশুটিকে মাটির মধ্যে থেকে বার করে আনা হয়। তারপর মহিলারাই শিশুটির মুখ থেকে টেনে মাটি বার করে আনেন। তাকে স্নান করান। শিশুটির হাত ও পায়ে সামান্য আঘাত লেগেছে।


শিশুটিকে এরপর স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে ভর্তি করেছেন। তবে ওই পুত্রসন্তানটি বিপদমুক্ত। যত্নে রাখলে সদ্যোজাতটি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবে। গ্রামবাসীদের দাবি, ওই শিশুটিকে কেউ মাটিতে পুঁতে ফেলার চেষ্টা করেছিল। তারপর অর্ধেক পুঁতে রেখেই পালিয়ে যায়। যদিও মেষপালকরা জানিয়েছেন তাঁরা কাউকে দেখতে পাননি। কিন্তু গ্রামবাসীদের দাবি খুব বেশি আগে শিশুটিকে পোঁতা হয়নি।

ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার কৃষ্ণভরম গ্রামে। মহিলা কমিশনের তরফে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। আশপাশের সব গ্রামে গিয়ে সন্তানসম্ভবাদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কাদের কবে ডেলিভারি ডেট রয়েছে বা কারা কারা প্রসবের মুখে ছিলেন তাঁদেরও তালিকা তৈরি হচ্ছে। কে এই ঘটনার পিছনে দায়ী তা খুঁজে বার করতে তদন্তে জোর দেওয়া হয়েছে। তথ্য জোগাড় করতে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও আশা কর্মীদের কাজে লাগানো হয়েছে। কারণ তাঁদের কাছে স্থানীয় স্তরে খবর বেশি থাকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button