রটনার শিকার, গিলে ফেলা হরিণ বমি করে মারা গেল পাইথন
রটনা কেড়ে নিল একটি বন্যপ্রাণের জীবন। মর্মান্তিক ঘটনাটি নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।

আমরোহা (উত্তরপ্রদেশ) : বাড়ির গৃহপালিত পশুদের জন্য খাবার দরকার। তাই কাছের আখ ক্ষেতে খাবার আনতে গিয়েছিল মেয়েটি। পশুর খাবার জোগাড় করতে আখ ক্ষেতে ঢুকেই মেয়েটি আঁতকে ওঠে। একটু দূরেই একটি অতিকায় পাইথন গোল পাক খেয়ে ঝিমোচ্ছে। বিশাল পাইথন দেখার পর সে আর সেখানে থাকেনি। পালিয়ে আসে গ্রামে। খবর দেয় গ্রামবাসীদের। মেয়েটির কাছে বিশাল সাপের কথা জানতে পেরে তাঁরা হাজির হন সেই আখ ক্ষেতে। দেখেন সত্যিই সেখানে কুণ্ডলী পাকিয়ে একটি পাইথন ঝিমোচ্ছে। এত মানুষ দেখেও সে সেখান থেকে নড়েনি।
এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু গ্রামবাসীদের নজর গিয়ে পড়ে পাইথনটির পেটের কাছে। সেখানটা বিশাল ফুলে রয়েছে। যা দেখার পর কয়েকজন গ্রামবাসী বলতে শুরু করেন নিশ্চয়ই পাইথনটি কোনও শিশুকে গিলে নিয়েছে। দুএক জনের এই বক্তব্য কিন্তু আগুনের মত ছড়াতে থাকে। রটনা হুহু করে ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীরা ধরেই নেন যে পাইথনটি কোনও শিশুকে গিলেছে। এবার পাইথনটিকে নিয়ে শুরু হয় টানা হেঁচড়া।
সাপ কিছু গিললে তার নড়ার ক্ষমতা থাকে না। তা গ্রামবাসীদেরও জানা। তাই তাঁরা সাপটিকে ধরে টানা হেঁচড়া করতে করতে বেশ কিছুটা নিয়ে যান। এরমধ্যেই অবশ্য খবর যায় বন দফতরের কাছে। তারা সেখানে হাজির হয়। তারপর সাপটিকে গ্রামবাসীদের অত্যাচারের হাত থেকে মুক্ত করে। পরে বনকর্মীরা পাইথনটিকে নিয়ে গিয়ে কিছুটা দূরে গঙ্গার ধারে ফাঁকা জায়গায় ছেড়ে দেন।
সেখানে ছাড়ার পরই অবশ্য সাপটি বমি করতে শুরু করে। বমি করতে করতে এক সময় তার পেট থেকে বেরিয়ে আসে একটি আস্ত হরিণ। যা সে গিলে নিয়ে ওই আখ ক্ষেতে বিশ্রাম নিচ্ছিল। হরিণটির দেহ পাইথনের বমির সঙ্গেই বেরিয়ে আসে। হরিণটি বেরিয়ে আসার পর পাইথনটি মারা যায়। খাওয়ার পর এই অত্যাচার তার সহ্য হল না। বন দফতর পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। একটা সামান্য রটনা কেড়ে নিল ওই পাইথনের প্রাণ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা