সেই আবার ৯০ হাজারের কাছে দৈনিক সংক্রমণ, সুস্থতাতেও রেকর্ড
আগের দিন সামান্য নামলেও ফের সংক্রমণ বেড়ে পৌঁছে গেল প্রায় ৯০ হাজারে। এদিন সংক্রমণের পাশাপাশি সুস্থও হয়েছেন রেকর্ড সংখ্যক মানুষ।

নয়াদিল্লি : দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা অগাস্টেই বাড়ছিল হুহু করে। সেপ্টেম্বর পড়ার পর থেকে তা যেন লাগাম ছাড়া ছুট শুরু করেছে। সংক্রমণ এতটাই বাড়ছে যে বিশ্বের অন্যতম করোনা বিধ্বস্ত দেশ ব্রাজিলকেও টপকে গেছে ভারত। ব্রাজিলকে টপকে ২ নম্বরে উঠে এসেছে ভারত। দৈনিক সংক্রমণে গত ১ মাসের ওপর প্রতিদিন ভারতই শীর্ষে রয়েছে।
২ দিন টানা রেকর্ড গড়ে ৯০ হাজারের ওপর সংক্রমণ ধরা পড়ার পর আগের দিন তা কিছুটা হলেও কমেছিল। কিন্তু ফের গত একদিনে তা ৯০ হাজারের দরজায় পৌঁছে গেল। গত একদিনে নতুন করে আক্রান্ত ধরা পড়েছেন ৮৯ হাজার ৭০৬ জন। গত একদিনে দেশে ১১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৫৪৯ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
রোগী বৃদ্ধির সংখ্যার পর দেশে এখন মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৪৩ লক্ষ পার করে ৪৪ লক্ষের দিকে পৌঁছে গেছে। সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৪৩ লক্ষ ৭০ হাজার ১২৮ জন। দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা লম্বা লাফ দিয়েছে। দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লক্ষ ৯৭ হাজার ৩৯৪ জন। অ্যাকটিভ রোগী আগে কম বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কারণ সুস্থও হয়ে উঠছিলেন অনেকে। গত ৫ দিনে সংক্রমণ যেভাবে বেড়েছে সেই অনুপাতে সুস্থতা বাড়েনি। ফলে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। মাঝে একদিন অবশ্য ব্যতিক্রম হয়েছে।
দেশে যখন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তখন বাড়ছে করোনায় মৃত্যুও। মৃতের সংখ্যা ১ হাজারের ওপরই থাকছে প্রতিদিন। গত একদিনে মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ১১৫ জন। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে বর্তমানে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৭৩ হাজার পার করেছে। দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৮৯০ জন।
দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের অবস্থা এখনও সবচেয়ে খারাপ। গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৮০ জনের। কর্ণাটকে মৃত্যু হয়েছে ১৪৬ জনের। তামিলনাড়ুতে গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৮৭ জনের। অন্ধ্রপ্রদেশে ৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন করোনায়।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত একদিনে দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন রেকর্ড সংখ্যক মানুষ। ৭৪ হাজার পার করেছে সুস্থতা। একদিনে এত মানুষ এর আগে সুস্থ হননি। ৭৪ হাজার ৮৯৪ জন গত একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা এদিন ৩৪ লক্ষের দরজায় পৌঁছে গেছে। মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮৪৪ জন। দেশে সুস্থতার হার ৭৭ শতাংশ পার করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা