সুশান্তের জন্য প্রেসক্রিপশন তৈরি করা চিকিৎসকের ফোন বন্ধ, আসছেন না হাসপাতালে
অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের জন্য একটি প্রেসক্রিপশন তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি। এখন সেই প্রেসক্রিপশন করা চিকিৎসক কার্যত লুকিয়ে বেড়াচ্ছেন।
নয়াদিল্লি : অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী এফআইআর দায়ের করেছিলেন সুশান্তের ২ বোন ও এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এফআইআর-এ নাম রয়েছে আরও কয়েকজনের। রিয়ার অভিযোগ ছিল দিল্লির রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক তরুণ কুমার সুশান্তকে উদ্বেগ প্রশমনের জন্য একটি জাল প্রেসক্রিপশন করে দিয়েছিলেন। সুশান্ত ছিলেন মুম্বইতে। আর তিনি দিল্লিতে বসে প্রেসক্রিপশন বানান। যা সুশান্তের এক দিদি তাঁকে পাঠিয়ে দেন।
রিয়ার অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই কিন্তু দিল্লির ওই চিকিৎসক আর হাসপাতালে আসছেন না। হাসপাতালে আসা তো বন্ধ করেছেনই, সেইসঙ্গে লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগও কম করেছেন। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস তাঁকে বারবার ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারেনি। তাঁর ফোন বন্ধ। তিনি হাসপাতালেও আসছেন না। হাসপাতালের লোকজনও জানাচ্ছেন চিকিৎসক তরুণ কুমার হাসপাতালে এক সপ্তাহের ওপর হয়ে গেল আসছেন না।
জানা যাচ্ছে হাসপাতালের তরফেও ওই চিকিৎসকের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। হাসপাতাল জানতে চেয়েছে যখন সুশান্ত মুম্বইতে ছিলেন, তখন তিনি কিসের ভিত্তিতে প্রেসক্রিপশন করে দিলেন। মুম্বই পুলিশের কাছে করা ৬ পাতার অভিযোগপত্রে রিয়া পরিস্কার লিখেছেন যে সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কার নির্দেশেই ওই চিকিৎসক অবৈধভাবে মানসিক চিকিৎসার ওষুধ দিয়েছিলেন। সুশান্তকে ওপিডি রোগী হিসাবে দেখিয়ে এই প্রেসক্রিপশন দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন রিয়া। যে কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন রিয়ার আইনজীবী।
প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবারই রিয়া চক্রবর্তীকে মাদককাণ্ডে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। রিয়া জেরায় স্বীকারও করেছেন যে সুশান্তের জন্য তিনিই নিষিদ্ধ মাদক আনিয়ে দিতেন। গত রবিবার থেকে ৩ দিন ধরে তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি-র আধিকারিকরা। রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিক চক্রবর্তীকে মাদক সংক্রান্ত মামলায় আগেই গ্রেফতার করেছিল এনসিবি। গ্রেফতার হয়েছিলেন সুশান্তের বাড়ির কেয়ারটেকার স্যামুয়েল মিরান্ডাও। তারপরই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল এবার হয়তো রিয়ার পালা।
রিয়ার বাবাও সেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। রিয়া চক্রবর্তীকে অবশ্য ডেকে পাঠালেও প্রথম ২ দিনে গ্রেফতার করেনি এনসিবি। অবশেষে তৃতীয় দিনে তিনি মঙ্গলবার সকালে ফের এনসিবি আধিকারিকদের মুখোমুখি হন। কিছুক্ষণ জেরার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা