শিশুর জন্মের পর মায়েরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষ করে থাকেন শিশুর মুখ দেখার জন্য। তাকে পাশে পাওয়ার জন্য। কিন্তু বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা ৩৫ বছরের খালিদা বেগমের ক্ষেত্রে উল্টোটাই ঘটল। সন্তানকে প্রথম দেখেই আঁতকে উঠলেন তিনি। সাফ জানিয়ে দিলেন এই শিশুকে স্তন্যপান করাতে তিনি রাজি নন। সদ্যোজাত পুত্রসন্তানকে অন্য গ্রহের জীব বলেও দাবি করেন স্বয়ং মা। শিশুটি যে স্বাভাবিক দর্শন নয় তা পরিস্কার। তার দেহের অধিকাংশ অঙ্গের বিকাশ ঠিকঠাক হয়নি। চোখ দুটো বিস্ফারিত। মাথা অনেকটাই ছোট। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হার্লেকুইন ইচথিয়োসিস নামে এক বিরল অসুখে আক্রান্ত সদ্যোজাত শিশুটি। যা প্রধানত চামড়ার ওপর প্রভাব ফেলে। ফলে দেহে অনেক অঙ্গের সঠিক বিকাশ হয়না। সন্তানের পিতার ব্যাখ্যা যদিও অন্যরকম। তাঁর বিশ্বাস হিন্দু দেবতা হনুমানের অবতার হতে পারে শিশুটি। এদিকে চিকিৎসকেরা মনে করছেন শিশুটির চামড়ার বিশেষ যত্ন নিতে হবে। এতটা অস্বাভাবিকতা নিয়ে জন্মানো একটি শিশুর আয়ু নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে এই শিশুর আয়ু নিয়ে কোনও কিছুই বলতে পারছেন না তাঁরা। ভারতে এমন রোগে আক্রান্ত সদ্যোজাতের তালিকায় এটা দ্বিতীয় উদাহরণ। ২০১৬ সালের জুন মাসে নাগপুরে এমন এক কন্যা সন্তান জন্মের পর ২ দিন বেঁচে ছিল।