৮ সাংসদের পাশে পুরো বিরোধী শক্তি, ধর্না প্রত্যাহার ডেরেকদের
সাসপেন্ড হওয়া ৮ সাংসদ এদিন তুলে নিলেন তাঁদের ধর্না অবস্থান। পুরো বিরোধী শক্তিকে পাশে পেয়ে যাওয়ায় ধর্না তুললেন তাঁরা।
নয়াদিল্লি : রাজ্যসভা থেকে ৮ সাংসদকে সাসপেন্ড করার ঘটনায় ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ৮ সাংসদের ওপর থেকে অবিলম্বে সাসপেনশন তুলে নিতে হবে। তা না হলে বাদল অধিবেশনে বিরোধীরা যোগই দেবেনা।
মঙ্গলবার কংগ্রেস প্রথমে একথা বলে বেরিয়ে আসে অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে। পরে তৃণমূল বেরিয়ে আসে। এভাবে গোটা বিরোধী শক্তিকে পাশে পেয়ে যাওয়ার পর আর নিজেদের ধর্না অবস্থান চালিয়ে যাননি ৮ সাংসদ। যেখানে বিরোধীরা সংসদেই ঢুকছে না সেখানে আর ধর্নার প্রয়োজন নেই।
গত রবিবার ৮ সাংসদ, তৃণমূলের ২ সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং দোলা সেন, কংগ্রেসের রাজীব সাতাভ, রিপুন বোরা, সৈয়দ নাসির হোসেন, সিপিএম-এর কেকে রাগেশ, ই করিম এবং আম আদমি পার্টি-র সঞ্জয় সিং-কে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। তারপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধীরা। এদিকে সাসপেনশন তোলার দাবিতে সংসদ চত্বরে রাতভর ধর্না চালিয়ে যান ৮ সাংসদ।
গুলাম নবি আজাদ অবশ্য ৮ সাংসদের ধর্নার পাশাপাশি মূল ইস্যু থেকে সরেননি। সরেনি বিরোধীরাও। গুলাম নবি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সরকারকে আরও একটি বিল এনে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের চেয়ে কম দামে কোনও বেসরকারি সংস্থা ফসল কিনতে পারবেনা। এটা নিশ্চিত না করলে বিরোধীরা সংসদ থেকে দূরে থাকবে।
কৃষি বিলকে কৃষক বিরোধী বলে দাবি করে সংসদে সোচ্চার ছিল বিরোধী সাংসদরা। সরকারের আনা এই বিলের প্রবল সমালোচনা করছিল তারা। সংসদের উচ্চকক্ষে রবিবার বিরোধীরা প্রবল বিরোধিতা শুরু করে।
ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তারা। ছিলেন তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম, আপ সহ বিরোধী সাংসদেরা। তখন সভা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ।
ওয়েলে নেমে বিক্ষোভের পাশাপাশি হরিবংশ নারায়ণের সামনের রুলবুক ও মাইক নিয়ে টানাটানি করেন বিরোধী সাংসদেরা। যার মধ্যে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। বিরোধীরা যখন সোচ্চার তখন পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন শাসক দলের সাংসদরাও। সংসদ উত্তাল হয়ে ওঠে। ফলে তা সাময়িক মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
দুপুরে রাজ্যসভার অধিবেশন চালু হলেও বিরোধী বিক্ষোভ বজায় থাকে। তার মধ্যেই ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায় কৃষি বিল। এদিকে রবিবার সংসদে করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বিরোধীদের ওয়েলে নেমে আসা ও রুলবুক নিয়ে টানাটানি সহ নানা আচরণকে অসংসদীয় আখ্যা দিয়ে ৮ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা