রেকর্ড গড়ল নমুনা পরীক্ষা, দেশে ফের সংক্রমিতের সংখ্যা পিছনে ফেলল সুস্থতাকে
টানা ৩ দিন দেশে ২৪ ঘণ্টায় ধরা পড়া সংক্রমিতের চেয়ে করোনা জয় করে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা ওপরে থাকার পর ফের গত একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ছাপিয়ে গেল সুস্থতাকে। ফিরল পুরনো ছবি।
নয়াদিল্লি : সেপ্টেম্বরে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। সেপ্টেম্বর জুড়েই সংক্রমণ লাগামছাড়া ছুট দিচ্ছে। বিশ্বের করোনা বিধ্বস্ত সব দেশের চেয়েই এখন দৈনিক সংক্রমণে অনেক এগিয়ে ভারত। তারপরেও সংক্রমিতের চেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা বেশি থাকছিল ৩ দিন ধরে।
গত একদিনে সেই ছবি বদলে গিয়ে ফের সংক্রমিতের সংখ্যা ছাপিয়ে গেল সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের দৈনিক সংখ্যাকে। গত একদিনে আক্রান্ত ধরা পড়েছেন ৮৬ হাজার ৫২ জন।
এদিন সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল গত একদিনে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা। যা পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। গত একদিনে দেশে ১৪ লক্ষ ৯২ হাজার ৫০২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। প্রায় ১৫ লক্ষের কাছে।
করোনা মাথাচাড়া দেওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত একদিনে এত বেশি নমুনা পরীক্ষার ধারে কাছে কখনও পরীক্ষা হয়নি। সেখানেও রোগীর সংখ্যা আগের দিনের মত থাকাটা সদর্থক ইঙ্গিত।
গত একদিনের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৫৮ লক্ষ ১৮ হাজার ৫৭০ জন। এদিন অবশ্য সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের সংখ্যার কম হওয়ায় দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা আবার বেড়েছে।
দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা এদিন দাঁড়িয়েছে ৯ লক্ষ ৭০ হাজার ১১৬ জন। একদিনে বেড়েছে ৩ হাজার ৭৩৪ জন।
দেশে যখন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তখন বাড়ছে করোনায় মৃত্যুও। মৃতের সংখ্যা ১ হাজারের ওপরই থাকছে প্রতিদিন। গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৪১ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মৃতের সংখ্যা ৯২ হাজার পার করেছে। সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯২ হাজার ২৯০ জন।
দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের অবস্থা এখনও সবচেয়ে খারাপ। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৪৫৯ জনের। কর্ণাটকে মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের। তামিলনাড়ুতে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৬৬ জনের। অন্ধ্রপ্রদেশে ৫২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ৬৭ জনের।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮১ হাজার ১৭৭ জন। দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা এদিন ৪৭ লক্ষ পার করেছে। মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭ লক্ষ ৫৬ হাজার ১৬৪ জন। দেশে সুস্থতার হার ৮১ শতাংশের ঘরে রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা