ভারতকে আগে পাহাড় চুড়ো থেকে সেনা সরাতে হবে, শর্ত দিল চিন
লাইন অফ কন্ট্রোল বা এলএসি থেকে তাদের সেনার অবস্থান ও ঘাঁটি সরানো নিয়ে কথা পরে হবে। তার আগে ভারতের ঘাড়ে শর্ত চাপাল চিন।
নয়াদিল্লি : লাদাখে ভারত ও চিন ২ পক্ষই গত ৪ মাস ধরে সীমান্তে তাদের শক্তি বৃদ্ধি করছে। চিন দিনের পর দিন সেখানে অস্ত্র মজুত করছে, সেনা বাড়াচ্ছে, ঘাঁটি তৈরি করছে। যা নিয়ে ভারত বারবার আপত্তি জানিয়ে এসেছে।
এভাবে সীমান্তে চিনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির প্রবণতা দেখে ভারতও সেখানে তাদের শক্তি বৃদ্ধি শুরু করে দিয়েছে। প্রতিরক্ষার প্রয়োজনে যা জরুরি ছিল।
তবে শান্তি ফেরাতে ভারত ও চিনের সেনা আধিকারিক পর্যায়ে বৈঠক চলছে। সেখানে চিনকে সেনা সীমান্ত থেকে সরিয়ে নিতে বলেছে ভারত। কিন্তু পাল্টা চিন এজন্য শর্ত দিয়েছে।
চিনকে ঠেকাতে লাদাখের প্যাংগং লেকের দক্ষিণ পাড়ে যে শৃঙ্গগুলি রয়েছে সেখানে নিজেদের আধিপত্য তৈরি করেছে ভারতীয় সেনা। কারণ এই পাহাড় চুড়োগুলি যুদ্ধের জন্য স্ট্র্যাটেজিক লোকেশন বা কৌশলী অবস্থান।
ওই সব লোকেশনে ভারতীয় সেনা মোতায়েন রয়েছে সর্বক্ষণ। যা নজরে রাখছে সীমান্তে চিনের গতিবিধি। আর এখানেই এখন আপত্তি চিনের। চিন চাইছে ভারত তাদের ওই কৌশলী অবস্থান থেকে সরে যাক।
সেনা আধিকারিক পর্যায়ে বৈঠকে চিনা সেনা শর্ত দিয়েছে যে সীমান্ত থেকে সেনা সরানো নিয়ে কথা পরে হবে। তার আগে ভারতকে ওই পাহাড়ের চুড়োগুলো ফাঁকা করে দিতে হবে। সেখান থেকে সেনা সরিয়ে নিতে হবে।
যদিও ভারত ওই কৌশলী অবস্থান থেকে সরে যাওয়া নিয়ে উৎসাহী নয়। বরং ভারত চাইছে কথা যখন হবে তখন পুরো লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল নিয়েই হোক। শুধু লাদাখ নিয়েই বা কথা হবে কেন? কারণ সীমান্ত জুড়েই চিন সর্বত্র তাদের ঘাঁটি ও সেনা অবস্থান বাড়িয়েছে। সেটা তারা আগে সরাক।
ভারত প্যাংগং লেকের দক্ষিণের পাহাড় চুড়োগুলো দখলে রাখলে তারা যে লাদাখে বড় একটা এঁটে উঠতে পারবে না তা বুঝে চিন ইতিমধ্যেই ভারতকে সেখান থেকে সরানোর সব চেষ্টা করে ফেলেছে। এমনকি গুলিও চলেছে সীমান্তে। অবশ্য কাউকে টার্গেট করে নয়। ভয় দেখাতে গুলি চালিয়েছে চিনা সেনা। কিন্তু ভারতীয় সেনা ভয় পেতে জানে না। তারাও নিজেদের অবস্থান ধরে রেখে দিয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা