হাতে খুলি নিয়ে কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল কৃষকরা
হাতে ধরা করোটি। সেভাবেই এক অভিনব প্রতিবাদে শামিল হলেন একদল কৃষক।
চেন্নাই : সারা দেশ জুড়েই কেন্দ্রের আনা কৃষি বিলের প্রতিবাদ চলছে। প্রতিবাদে শামিল কৃষকরা। ক্রমশ বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে আন্দোলন। পথ অবরোধ, রেল রোকো চলছে অনেক জায়গায়।
রেল রোকো চলতে থাকায় বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। বিহার থেকে হরিয়ানা, তামিলনাড়ু থেকে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদ। লং মার্চ দিল্লির দিকে এগোচ্ছে।
কৃষকরা বিভিন্ন রাস্তায় অবরোধ করছেন। ক্রমশ প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন আরও বেশি সংখ্যক কৃষক। শুক্রবার বিলের প্রতিবাদে ভারত বন্ধের ডাকও দেওয়া হয়েছিল। অবশ্য তার প্রভাব কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে পড়ে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবশ্য বার বার জানিয়েছেন এই বিলে কৃষকদের ভবিষ্যতে লাভ হবে। কৃষকরা কিন্তু বিক্ষোভে অনড়। একটা বড় অংশের কৃষকই ক্রমশ এই প্রতিবাদে শামিল হতে থাকায় ক্রমশ কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ পারদ চড়াচ্ছে।
বিরোধীরা বিলের প্রতিবাদ সংসদেই করেছিল। এবার তারা কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদের সুরকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার বিহারে ট্র্যাক্টর মিছিল করে প্রতিবাদে শামিল হন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব।
এরমধ্যেই এক অভিনব প্রতিবাদ দেখা গেল তামিলনাড়ুর ত্রিচিতে। এখানে কালেক্টরেটের অফিসের সামনে শুক্রবার কৃষি বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে শামিল হন কৃষকরা। তাঁদের হাতে ছিল ২টি করে খুলি। ২ হাতে করোটি নিয়ে এক অদ্ভুত প্রতিবাদ নজর কাড়ে সকলের।
ত্রিচিতে করোটি নিয়ে এই বিক্ষোভের পাশাপাশি অন্য জেলাতেও বিক্ষোভ হয়। যদিও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এই বিলের পাশে দাঁড়িয়ে কৃষকদের এতে ভাল হবে বলেই আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন।
তামিলনাড়ুতে এদিন সিপিএম ও সিপিআই বিভিন্ন জায়গায় কৃষি বিলের প্রতিবাদে পথে নেমে বিক্ষোভে শামিল হয়। অন্ধ্রপ্রদেশেও বিলের প্রতিবাদে মিছিল বার করে সিপিএম।
পঞ্জাব, হরিয়ানা কার্যত স্তব্ধ করে দিয়েছেন কৃষকরা। ওড়িশাতেও বহু কৃষক পথে নামেন শুক্রবার। কর্ণাটকে অবশ্য কৃষি বিলের প্রতিবাদের প্রভাব তেমন একটা দেখা যায়নি। খুব সামান্যই প্রতিবাদ নজর কেড়েছে এই রাজ্যে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা