National

দেশে একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যাকে অনেকটা ছাপিয়ে গেল সুস্থতা

গত একদিনে দেশে সংক্রমিতের সংখ্যাকে ছাপিয়ে গেল সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা। সুস্থতা ৮২ শতাংশের ঘরে রয়েছে।

নয়াদিল্লি : সেপ্টেম্বরে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। সেপ্টেম্বর জুড়েই সংক্রমণ লাগাম ছাড়া ছুট দিচ্ছে। বিশ্বের করোনা বিধ্বস্ত সব দেশের চেয়েই এখন দৈনিক সংক্রমণে অনেক এগিয়ে ভারত। তারপরেও সংক্রমিতের চেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়া কিছুটা হলেও ভরসা দিচ্ছে।

গত একদিনে আক্রান্ত ধরা পড়েছেন ৮৫ হাজার ৩৬২ জন। যা কিন্তু একদিনে নতুন পাওয়া সংক্রমিতের সংখ্যার হিসাবে যথেষ্ট উদ্বেগের। কিন্তু সুস্থ হয়ে উঠেছেন তার চেয়েও বেশি।


গত একদিনে দেশে ১৩ লক্ষ ৪১ হাজার ৫৩৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তার আগের দিন সংখ্যাটা ছিল প্রায় ১৫ লক্ষের কাছে।

করোনা জানতে নমুনা পরীক্ষা দেশে গত ২ দিনে কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সেখানেও রোগীর সংখ্যা আগের দিনের মত থাকাটা সদর্থক ইঙ্গিত।


গত একদিনের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৫৯ লক্ষ ৩ হাজার ৯৩২ জন। এদিন অবশ্য সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের সংখ্যার চেয়ে অনেকটা বেশি হওয়ায় দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমেছে।

দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা এদিন দাঁড়িয়েছে ৯ লক্ষ ৬০ হাজার ৯৬৯ জন। একদিনে কমেছে ৯ হাজার ১৪৭ জন।

দেশে যখন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তখন বাড়ছে করোনায় মৃত্যুও। মৃতের সংখ্যা ১ হাজারের ওপরই থাকছে প্রতিদিন।

গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৮৯ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মৃতের সংখ্যা ৯৩ হাজার পার করেছে। সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ৩৭৯ জন।

দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের অবস্থা এখনও সবচেয়ে খারাপ। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৪১৬ জনের। কর্ণাটকে মৃত্যু হয়েছে ৮৬ জনের।

তামিলনাড়ুতে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। অন্ধ্রপ্রদেশে ৪৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন করোনায়। উত্তরপ্রদেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮৪ জনের।

করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত একদিনে ফের সংক্রমিতের সংখ্যাকে ছাপিয়ে গেছে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৩ হাজার ৪২০ জন। দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা এদিন ৪৮ লক্ষ পার করেছে।

মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫৮৪ জন। দেশে সুস্থতার হার ৮২ শতাংশের ঘরে ঢুকে পড়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button