যা পরিস্থিতি তাতে ট্রেনেই পুনে ফিরতে হবে শিবসেনা সাংসদ রবীন্দ্র গায়কোয়াড়কে। কারণ দেশের কোনও বিমান সংস্থাই তাঁকে তাদের বিমানে সফর করতে দিতে রাজি নয়। সে রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ার ইন্ডিয়াই হোক, বা ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের সদস্য সংস্থা ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, গো এয়ার ও জেট হোক। এক বিরল সিদ্ধান্তে সকলের তরফে জানানো হয়েছে তারা শিবসেনা সাংসদকে তাদের সংস্থার বিমানে সফর করতে দেবে না। শুক্রবার বিকেলে পুনে ফেরার যে টিকিট রবীন্দ্র গায়কোয়াড়ের ছিল, তাও বাতিল করে দিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। যদিও প্রশ্ন উঠছে এভাবে কারও বিমান সফরে বাধাদান আদৌ আইন সঙ্গত কিনা? কিন্তু সেসব প্রশ্ন পরে। তার আগে রবীন্দ্র রবীন্দ্র গায়কোয়াড়ের জন্য এটা মোটেও সুখের কথা নয়। যদিও তিনি নিজের অবস্থানে অনড়। গত বৃহস্পতিবার পুনে থেকে দিল্লি পৌঁছনোর পর তাঁকে কেন বিজনেস ক্লাসে বসতে দেওয়া হল না তা নিয়ে বিমানেই হুলুস্থুলু শুরু করেন শিবসেনা সাংসদ। অনেক বোঝানোর পরও তাঁকে নিরস্ত তো করাই যাননি, বরং এয়ার ইন্ডিয়ার এক পদস্থ আধিকারিককে গুনে গুনে ২৫ বার জুতোপেটা করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে প্রকাশ্যে একথা স্বীকারও করে নিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, ওই আধিকারিক তাঁকে অসম্মানজনক কথা বলেছিলেন। আর অভব্য আচরণ তিনি সহ্য করতে পারেননা। তাই শাস্তি দিতেই ২৫ ঘা জুতোপেটা করেছেন তিনি। পারলে বিমান থেকেই ঠেলে ফেলে দিতেন ওই কর্মীকে। যা করেছেন তা বেশ করেছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিবসেনা সাংসদ। ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই উঠছে না বলে জানিয়ে রবীন্দ্র গায়কোয়াড়ের চ্যালেঞ্জ ক্ষমতা থাকলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে দেখাক। সাফ জানিয়েছেন, তিনি শিবসেনা সাংসদ, বিজেপি নন। এসব তিনি সহ্য করবেন না। এদিকে বিমান সংস্থাগুলি একজোটে বেঁকে বসায় রবীন্দ্র গায়কোয়াড়কে ট্রেনেই সফর করতে হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকও বিষয়টাকে ভাল চোখে নিচ্ছে না। কোনও সাংসদ আইনের উর্ধ্বে নন বলে সাফ জানিয়েছেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী।