National

কৃষক আন্দোলনের পারদ চড়িয়ে এবার দিল্লি চলো-র ডাক

কৃষি আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলছে কৃষক বিক্ষোভ। এরমধ্যেই দিল্লি চলোর ডাক দিল কিষাণ সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি।

নয়াদিল্লি : কৃষক আন্দোলনের পারদ চড়িয়ে এবার দিল্লি চলো-র ডাকও দিয়ে দিল অখিল ভারতীয় কিষাণ সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি। তার আগে অবশ্য ২ অক্টোবর দেশ জুড়ে তারা আন্দোলন কর্মসূচি পালন করতে চলেছে।

যে সব দল কৃষি বিলের প্রতিবাদ করেনি তাদের নেতাদের বিরুদ্ধেও ধিক্কার কর্মসূচি পালন করতে চলেছেন কৃষকরা। তাছাড়া আগামী ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিবসে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রবল ক্ষোভ দেশ জুড়ে আছড়ে পড়তে চলেছে বলে সংগঠনের পক্ষে দাবি করা হয়েছে। এরপর আন্দোলন চলতে থাকবে বলেই জানিয়েছে সংগঠন।


আগামী ২৬ ও ২৭ নভেম্বর সংগঠনের তরফে দিল্লি চলো-র ডাক দেওয়া হয়েছে। দিল্লিতে দেশের বিভিন্ন কোণা থেকে আসা কৃষকদের নিয়ে আন্দোলন সংগঠিত করে কেন্দ্রকে কড়া বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছে অখিল ভারতীয় কিষাণ সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি।

কৃষি বিল সংসদে আনা হলে তার বিরুদ্ধে প্রবল ক্ষোভ আছড়ে পড়ে। বিরোধী দলগুলি এই বিলের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠতা যথেষ্ট থাকায় বিল পাশ করিয়ে নিতে সমস্যা হয়নি কেন্দ্রের। কিন্তু দেশের একটা বড় অংশের কৃষক এই বিলের প্রতিবাদে সোচ্চার আন্দোলন শুরু করেন।


বিভিন্ন জায়গায় পারদ চড়তে থাকে বিক্ষোভের। এরমধ্যে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বন্ধও পালন করেন তাঁরা। বিভিন্ন জায়গায় রেল রোকো, পথ অবরোধ, ধিক্কার, অবস্থান বিক্ষোভ চলতে থাকে। রেল রোকো-র কথা মাথায় রেখে রেল কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু ট্রেন পর্যন্ত বাতিল করতে বাধ্য হয়।

এরমধ্যেই গত সোমবার দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের সামনে যুব কংগ্রেসের তরফে ট্রাক্টর পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। যার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানান এভাবে ট্রাক্টর পুড়িয়ে প্রতিবাদ করে কংগ্রেস দেশের কৃষকদেরই অপমান করেছে।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন কি বাত-এও কৃষকদের আশ্বস্ত করে জানান এই আইন দেশের কৃষকদের শ্রীবৃদ্ধি করবে। এতে কৃষকরা লাভবান হবেন। যদিও দেশের একটা বড় অংশের কৃষক কিন্তু রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন।

শুধু উত্তর ভারত বলেই নয়, পঞ্জাব, হরিয়ানা থেকে তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র থেকে ওড়িশা, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কৃষক আন্দোলন পারদ চড়ায়। প্রবল বিক্ষোভের ঢেউ এখন প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গায় আছড়ে পড়ছে। যা কিন্তু আপাতত বিজেপিকে কিছুটা কোণঠাসা অবস্থায় রেখেছে। এদিকে সরকারকে চাপে ফেলতে কৃষক আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে বিরোধী দলগুলি।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button