দেশে দৈনিক সুস্থতা ও সংক্রমণ প্রায় এক জায়গায় এসে ঠেকল
দৈনিক সংক্রমণ ও সুস্থতা প্রায় এক জায়গায় এসে ঠেকল। তবে এদিন সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের তুলনায় একটু হলেও কম।
নয়াদিল্লি : সেপ্টেম্বরে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। সেপ্টেম্বর জুড়েই সংক্রমণ লাগাম ছাড়া ছুট দিচ্ছে। বিশ্বের করোনা বিধ্বস্ত সব দেশের চেয়েই এখন দৈনিক সংক্রমণে অনেক এগিয়ে ভারত।
মাঝে মাঝে সংক্রমিতের চেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়া কিছুটা হলেও এরমধ্যেই ভরসা দিচ্ছে। অক্টোবরে পা রেখেও ছবিটা প্রায় একই রইল।
৮০ হাজারের ওপর সংক্রমণটা রয়েই গেছে। গত একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৬ হাজার ৮২১ জনে। গত একদিনে দেশে ১৪ লক্ষ ২৩ হাজার ৫২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
গত একদিনের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৬৩ লক্ষ ১২ হাজার ৫৮৪ জন। সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে এদিন সামান্য হলেও কম হওয়ায় দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ফের বেড়েছে। দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা এদিন দাঁড়িয়েছে ৯ লক্ষ ৪০ হাজার ৭০৫ জন। একদিনে বেড়েছে ২৬৪ জন।
দেশে যখন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তখন বাড়ছে করোনায় মৃত্যুও। মৃতের সংখ্যা প্রায় ১ মাস ধরে ১ হাজারের ওপরই থাকছে। মাঝে মাত্র ১ দিন তার ব্যতিক্রম হয়েছিল।
গত একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৮১ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মৃতের সংখ্যা ৯৮ হাজার পার করেছে। সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৮ হাজার ৬৭৮ জন।
দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের অবস্থা এখনও সবচেয়ে খারাপ। গত একদিনে সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৪৮১ জনের। কর্ণাটকে মৃত্যু হয়েছে ৮৭ জনের। তামিলনাড়ুতে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৬৭ জনের। অন্ধ্রপ্রদেশে ৪৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ৬৯ জনের।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত একদিনে ফের সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের সংখ্যার চেয়ে সামান্য কম। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮৫ হাজার ৩৭৬ জন।
দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা এদিন ৫২ লক্ষ পার করে ৫৩ লক্ষের দিকে ছুটছে। মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ লক্ষ ৭৩ হাজার ২০১ জনে। দেশে সুস্থতার হার ৮৩ শতাংশের ঘরে রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা