সামাজিক দূরত্ব জরুরি, গায়ে হাত না দিয়েই কনের অভিনব গায়েহলুদ
সামাজিক দূরত্ব মেনেও যে গায়েহলুদ হতে পারে তা একটি ভিডিও পরিস্কার করে দিল। এক অভিনব গায়েহলুদের সাক্ষী থাকলেন বহু মানুষ।
অমৃতসর : ভারতে করোনা থাবা বসিয়েছে তাও দেখতে দেখতে ৮ মাস অতিবাহিত। লকডাউন শুরু হয়েছে তাও ৬ মাসের ওপর হয়ে গেছে। এখন চলছে আনলক পর্ব। যার পঞ্চম অধ্যায় শুরু হয়েছে এই মাস থেকে।
করোনা কিন্তু কমার নাম নিচ্ছে না। করোনা থেকে বাঁচতে এখন রাস্তা সেই মুখে মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব আর বারবার হাত ধোওয়া। এই ৩টি বিষয়ে জোর দিচ্ছেন সব বিশেষজ্ঞ।
২ গজের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বারবার পরামর্শ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীও। এদিকে করোনার মধ্যেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন মানুষ। নিউ নর্মাল জীবন ক্রমশ গতি পাচ্ছে। সামাজিক অনুষ্ঠানও হচ্ছে। বিয়েও হচ্ছে।
ভারতে বিয়ের অনুষ্ঠানের এক অন্যতম পর্ব হল গায়েহলুদ। ভারতে বিভিন্ন প্রান্তেই বিয়েতে গায়েহলুদের অনুষ্ঠানের চল রয়েছে। গায়েহলুদে বর হোক বা কনে, তাঁদের সারা দেহে হলুদ লেপে দেন পরিবারের মানুষজন। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই অনুষ্ঠান এখন বিয়ের অন্যতম অঙ্গ।
কিন্তু সামাজিক দূরত্ব যেখানে করোনা থেকে দূরে থাকার অন্যতম ভরসা সেখানে গায়ে হলুদ মাখানো কী যায়? সেক্ষেত্রে যাঁকে মাখানো হচ্ছে তাঁরও যেমন ঝুঁকি থাকে, তেমন যিনি বা যাঁরা মাখাবেন তাঁদেরও ঝুঁকি থাকে।
অতএব গায়েহলুদও হবে কিন্তু গায়ে হাত দেওয়া হবে না, তার একটা উপায় বার করতে হয়। অবশ্য ভাবার দরকার নেই, সেই উপায় বার করে ফেলেছে এক পরিবার।
ধরি মাছ না ছুঁই পানি-র তত্ত্ব মেনে এবার গায়েহলুদ হল কনের। তবে তাঁকে না ছুঁয়েই। একটি ছোট্ট ভিডিও সোশ্যাল সাইটে হৈচৈ ফেলে দিয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে কনের গায়ে হলুদ মাখিয়ে দিচ্ছেন এক মহিলা। তবে হাত দিয়ে নয়। বাড়ি রং করার পেন্ট রোলার দিয়ে। তাও সেটা আবার একটি রডে লাগানো।
অনেক দূর থেকে সেই রোলার দিয়ে কনের গায়ে মহিলা লাগিয়ে দিচ্ছেন হলুদ। অন্যরা পাশে দাঁড়িয়ে এই অভিনব গায়েহলুদ প্রত্যক্ষ করছেন।
এভাবেই গায়েহলুদ হয়ে গেল এক কনের। আর তা দেখে অন্যরা হয়তো একটা আইডিয়া পেয়েও গেলেন। এভাবে গায়েহলুদ হতে পারে তা অন্তত অনেককে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।
আবার অন্য কোনও পন্থাও মাথা খাটিয়ে বার হতে পারে। তেমন কোনও গায়েহলুদও হয়তো দেখা যেতে পারে ভবিষ্যতে। বলা তো যায় না!