মাওবাদীদের হাতেই খুন দাপুটে মাওবাদী নেতা
মাওবাদীরাই এবার হত্যা করল তাদের এক নেতাকে। ওই নেতা একাধিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গী জড়িত ছিল।
রায়পুর : সংগঠনের মধ্যেই অন্তর্কলহ কতটা চরমে উঠতে পারে তা বোঝা গেল। মাওবাদীরা সংঘবদ্ধ সংগঠন। যারা তাদের তাণ্ডবের নানা ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটাতে থাকে। কখনও তাদের টার্গেট হয় পুলিশ, কখনও সিআরপিএফ, কখনও সাধারণ মানুষ, কখনও ব্যবসায়ী।
সম্প্রতি ছত্তিসগড়ের গঙ্গালুর এলাকায় যে মাওবাদী হামলা হয় তাতে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষের প্রাণ যায়। ওই ঘটনায় যে মাওবাদী নেতার বড় ভূমিকা ছিল সেই মোদিয়াম ভিজ্জা কে হন্যে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ। কিন্তু তার নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না।
মোদিয়াম ভিজ্জার মাথার দাম ধার্যও হয়েছিল। মাথার দাম ছিল ৮ লক্ষ টাকা। সেই মোদিয়াম ভিজ্জা খুন হল তারই দলের ক্যাডারদের হাতে।
জঙ্গলের মধ্যেই ২ পক্ষে ঝগড়া চরমে ওঠে। তারপরই তাদের নেতাকে হত্যা করে ক্যাডাররা। এমন ঘটনা মাওবাদী সংগঠনে বড় একটা দেখতে পাওয়া যায়না। বরং মাওবাদীরা নেতাদের নির্দেশ মেনে চলতেই অভ্যস্ত বলে দেখা যায়।
ছত্তিসগড়ের বীজাপুর জেলায় ক্যাডারদের হাতে খুন হয়েছে মাওবাদীদের ডিভিশনাল কমিটি মেম্বার মোদিয়াম ভিজ্জা। ছত্তিসগড়ের বস্তার রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন, মোদিয়াম তার দলের ক্যাডারদের হাতেই খুন হয়েছে। বস্তার এলাকার অনেকগুলি হত্যার জঙ্গে জড়িত ছিল ভিজ্জা।
আইজি জানাচ্ছেন, মাওবাদীদের নেতৃত্ব স্থানীয়দের কয়েকজনের সঙ্গে তাদের নিচু তলার ক্যাডারদের একটা মনোমালিন্য আগে থেকেই চলছিল। কোনও কিছু না ভেবেই নিরীহ আদিবাসীদের হত্যাকে কেন্দ্র করেই এদের মধ্যে ঝগড়া চলছিল।
আইজি-র ধারণা এই ঝগড়াই চরমে পৌঁছে গেলে নিচু তলার ক্যাডাররা মোদিয়াম ভিজ্জাকে হত্যা করে। যা কিন্তু ইদানিংকালে মাওবাদীদের মধ্যে দেখা যায়নি। বরং ভিজ্জাকে হন্যে হয়ে খুঁজেও পুলিশ নাগাল পাচ্ছিল না।
এই ঘটনা ছত্তিসগড়ের পুলিশ প্রশাসনের জন্যও একটা বড় সাফল্য বলে মনে করছে পুলিশ প্রশাসন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ বস্তার এলাকার এই ঘটনা ওই এলাকায় মাওবাদী দৌরাত্ম্যে কিছুটা লাগাম দিতে পারে বলেও আশাবাদী পুলিশ।