দেশে ৭০ লক্ষের দরজায় সংক্রমণ
দেশে দৈনিক সংক্রমণ গত একদিনে বাড়ল। যদিও তুলনায় সুস্থতা অনেকটা ওপরেই রইল। আরও কমে গেল অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা।
নয়াদিল্লি : সেপ্টেম্বরে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। অক্টোবরে সেই দৈনিক বৃদ্ধি নজরে না পড়লেও খুব একটা নিচেও নামেনি সংক্রমণ। গত মঙ্গলবার যেখানে সংক্রমণ নেমেছিল তা বিগত ১ মাসেরও বেশি সময় দেখতে পাওয়া যায়নি। আবার কিছুটা করে বেড়েছে সংক্রমণ।
সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বের করোনা বিধ্বস্ত সব দেশের চেয়েই এখন দৈনিক সংক্রমণে অনেক এগিয়ে ভারত। সংক্রমিতের চেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়াটা অবশ্য অনেকটা ভরসা যোগাচ্ছে।
গত একদিনে নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ২৭২ জন। গত একদিনে দেশে ১১ লক্ষ ৬৪ হাজার ১৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
গত একদিনের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যাটা ৭০ লক্ষের দরজায় পৌঁছে গেছে। দাঁড়িয়েছে ৬৯ লক্ষ ৭৯ হাজার ৪২৩ জন।
সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে এদিন অনেক বেশি হওয়ায় দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ফের কমেছে। দাঁড়িয়েছে ৮ লক্ষ ৮৩ হাজার ১৮৫ জন। একদিনে কমেছে ১০ হাজার ৪০৭ জন।
দেশে যখন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তখন বাড়ছে করোনায় মৃত্যুও। মৃতের সংখ্যা প্রায় ১ মাস ধরে ১ হাজারের ওপরই থেকেছে। গত ৬ দিনে কিন্তু মৃত্যু ৩ অঙ্কের ঘরে নেমেছে। ১ হাজারের নিচে থেকেছে মৃত্যু।
গত একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯২৬ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৭ হাজার ৪১৬ জন।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত একদিনে অবশ্য সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮২ হাজার ৭৫৩ জন। দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা এদিন ৬০ লক্ষের দরজায় পৌঁছে গেছে। মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮২২ জনে। দেশে সুস্থতার হার ৮৫ শতাংশের ঘরে রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা