আম্ফান অতীত বঙ্গোপসাগরে জমাট বাঁধছে নতুন ঘূর্ণিঝড়
আম্ফান অতীত। তবে তার স্মৃতি এখনও তাজা। তার মধ্যেই ফের বঙ্গোপসাগরে জমাট বাঁধছে একটি নিম্নচাপ। যা ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে।
বিশাখাপত্তনম : মে মাসে আম্ফান-এর তাণ্ডব চোখে দেখেছেন রাজ্যের একটা অংশের মানুষ। অনুভব করেছেন তার ভয়ংকরতা। সেই স্মৃতি এখনও তাজা তাঁদের মনে।
আম্ফান চলে যাওয়ার পর বঙ্গোপসাগরে তেমন কোনও অতিশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় জন্ম নেয়নি। কিছু নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে মাত্র। ফের কিন্তু একটি ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ জমাট বাঁধার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ ক্রমশ তার শক্তি বাড়াচ্ছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তা ক্রমশ স্থলভাগের দিকে এগোতে শুরু করবে। তার যে অভিমুখ হবে বলে আবহবিদরা মনে করছেন তা অবশ্য অন্ধ্রপ্রদেশ মুখী।
অন্ধ্রপ্রদেশ দিয়ে প্রবেশ করবে ঝড়টি। যার প্রভাব তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্রেও পড়বে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের ওপর বিশেষ পড়বে না বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা। ফলে আম্ফানের পর ফের একটি ঘূর্ণিঝড়ের এখনই মুখোমুখি হয়তো হতে হচ্ছেনা রাজ্যবাসীকে।
হায়দরাবাদে গত শুক্রবার সন্ধেতেই প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। যা কার্যত হায়দরাবাদ শহরকে অচল করে দিয়েছিল। বহু এলাকায় জল জমে যায়। অনেক রাস্তাতেই যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। সাধারণ মানুষ প্রবল সমস্যায় পড়েন।
বৃষ্টির দাপট এতটাই বেশি ছিল যে অনেক জায়গায় খুব দ্রুত জল বেড়ে যায়। শহরের বেশ কিছু রাস্তায় জল জমায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শহরের অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবরও মিলেছে। দীর্ঘ সময় লোডশেডিংয়ের মধ্যে কাটাতে হয় মানুষকে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে তেলেঙ্গানাতেও বেশ কিছু জায়গায় প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আগেই সতর্ক করেছে তারা।
আগামী ৪ দিন অন্ধ্রপ্রদেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এরমধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি জমাট বেঁধে এগোতে শুরু করলে তা স্থলভাগে প্রবেশও করতে পারে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার নেবে।
প্রসঙ্গত এই সময়ে বঙ্গোপসাগরে বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় জমাট বাঁধে। প্রতি বছরই এমনটা হয়। তার অভিমুখ কখনও হয় অন্ধ্রপ্রদেশ, কখনও তামিলনাড়ু, কখনও ওড়িশা তো কখনও পশ্চিমবঙ্গ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা