উৎসবের উপহার ১ কোটি মহিলাকে শাড়ি
১ কোটি মহিলার হাতে সরকারের তরফ থেকেই তুলে দেওয়া হল শাড়ি। সংখ্যাটা ১ কোটির ওপর বলেই মনে করা হচ্ছে। উৎসবের মুখে শাড়ি পেয়ে আপ্লুত মহিলারা।
হায়দরাবাদ : শর্ত কেবল ২টি। এক বয়স হতে হবে ১৮ বছরের ওপর। দুই মহিলার রেশন কার্ড থাকতে হবে। তাহলেই তাঁর হাতে সরকারের তরফ থেকে তুলে দেওয়া হচ্ছে শাড়ি।
এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে তেলেঙ্গানা সরকার। মহিলাদের এই শাড়ি পেতে কোথাও যেতে হবে না। লাইন দিতে হবে না। বরং সরকারি কর্মীরাই আসছেন বাড়ি বাড়ি। দরজায় কড়া নেড়ে দিয়ে যাচ্ছেন শাড়ি।
পুরো কাজটাই পরিচালনা করছেন স্থানীয় কাউন্সিলর, বিধায়কেরা। ঘরে ঘরে শাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কাজে হাত দিয়েছেন মন্ত্রীরাও।
গত শুক্রবার থেকে এই উপহার হিসাবে শাড়ি দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে জোরকদমে। পুরো তেলেঙ্গানা জুড়ে ১ কোটির ওপর মহিলাকে শাড়ি দেওয়া হচ্ছে।
এখন সারা দেশজুড়েই উৎসবের মরসুম। তবে করোনার জেরে উৎসবের আনন্দ এবার অনেকটাই ম্লান। সেই জাঁকজমক জৌলুস নেই।
পশ্চিমবঙ্গে আর ১০-১২ দিন পর দুর্গাপুজো বলে এখনও বোঝা যাচ্ছেনা। এই পরিস্থিতি এখন সারা দেশজুড়েই। তবে উৎসব তো সময়ে আসবেই।
তেলেঙ্গানার অন্যতম উৎসব বাথুকাম্মা। সেই বাথুকাম্মা উৎসবকে সামনে রেখেই এই শাড়ি উপহার দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে তেলেঙ্গানা সরকার। করোনা পরিস্থিতিতে উৎসবের দিনগুলোয় মহিলাদের মুখে হাসি ফোটানোই তাদের উদ্দেশ্য।
এই প্রকল্পে তেলেঙ্গানা সরকার ৩১৭.৮১ কোটি ব্যয় করেছে। ২৮৭টি আলাদা আলাদা ডিজাইনের শাড়ি তৈরি হয়েছে। ফলে প্রত্যেকের শাড়ির ডিজাইনও এক হবে না। রংও আলাদা করা হচ্ছে।
তেলেঙ্গানার ২০ হাজারের ওপর বয়নশিল্পী করোনা পরিস্থিতিতে কার্যত দিশেহারা। কাজ নেই। রোজগার নেই। কবে কাজ পাবেন তাও নিশ্চিত নয়। সরকারি এই প্রকল্প তাঁদের মুখেও হাসি ফুটিয়েছে।
এই নিয়ে পরপর ৪ বছর তেলেঙ্গানা সরকার বাথুকাম্মা উৎসবে শাড়ি তুলে দিচ্ছে ১ কোটির ওপর মহিলার হাতে।
বাথুকাম্মা উৎসব হল মূলত ফুলের উৎসব। যা তেলেঙ্গানায় প্রবল উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়ে থাকে প্রতি বছর।
২০১৪ সালে তৈরি হয় তেলেঙ্গানা রাজ্য। তারপর থেকেই সেখানে এই বাথুকাম্মা উৎসব পালিত হয়ে আসছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা