আরও শক্তিশালী নিম্নচাপের সোমবার রাতে স্থলভাগে প্রবেশ
ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর।
বিশাখাপত্তনম : ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি। যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও শক্তি বৃদ্ধি করবে। একটি ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়ে তা আছড়ে পড়তে পারে স্থলভাগে। ফলে প্রবল বৃষ্টি তো হবেই, সেইসঙ্গে বজ্রপাত হবে।
ঝড়ের ঝাপটা থাকবে। সর্বোচ্চ ঝড়ের গতি হতে পারে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ের প্রভাবে অনেক গাছ উপড়ে যেতে পারে। পড়ে যেতে পারে ইলেকট্রিকের খুঁটি।
প্রবল বৃষ্টির জেরে অনেক জায়গায় জল বাড়তে পারে। বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। আবহবিদেরা মনে করছেন এটি সোমবার রাতেই অন্ধ্রপ্রদেশের নারসাপুর ও বিশাখাপত্তনমের মাঝখান দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। যা সঙ্গে করে নিয়ে আসবে প্রবল বৃষ্টি। তেলেঙ্গানাতেও অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা সরকার ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। তৈরি রয়েছে এনডিআরএফ দলও। যাতে প্রয়োজনে উদ্ধারকাজে কোনও সমস্যায় না পড়তে হয়।
প্রবল বৃষ্টির জেরে অনেক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর। সেইসঙ্গে জানানো হয়েছে নদী সহ বিভিন্ন জলভাগে জলস্ফীতি হতে পারে প্রবল বৃষ্টির জেরে।
সোমবার তো বটেই এমনকি মঙ্গল ও বুধবারও বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এই পূর্বাভাস তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য জারি করা হয়েছে।
মৎস্যজীবীদের গত শনিবার থেকেই সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় বিশেষ সতর্কতা নিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার।
এদিকে বৃষ্টি গত শুক্রবারই হায়দরাবাদ শহর ভাসিয়ে দিয়েছে। তারপরও বৃষ্টি যে থেমেছে এমনটা নয়। দফায় দফায় প্রবল বৃষ্টি চলছে। বৃষ্টির জেরে অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার অনেক জায়গায় জনজীবন ব্যাহত হয়েছে।
এদিন রবিবার ছিল। কিন্তু সোমবার থেকে স্বাভাবিক কর্মময় দিন। ফলে মানুষের সমস্যা সোমবার আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
হায়দরাবাদের একটি পুরনো বাড়ি রবিবার ধসে পড়ে। ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ২ জনের। দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু হয়। ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে কয়েকজনকে বার করে আনা হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা