লোডশেডিংয়ে স্তব্ধ মুম্বইয়ে শিকেয় কাজকর্ম
আচমকা লোডশেডিংয়ে স্তব্ধ হয়ে গেল ব্যস্ত মুম্বই। সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনেই সকালে শিকেয় উঠল কাজকর্ম। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজ।
মুম্বই : ব্যস্ত শহর বাণিজ্যনগরী। নিউ নর্মাল জীবনেও মুম্বই ছুটছে তার গতিতেই। সপ্তাহের প্রথম দিন সকালে তখন সবে কাজকর্ম শুরু হয়েছে। আর ঠিক তখনই বিভ্রাট চরমে উঠল।
অফিস কাছারি থেকে গৃহস্থের বাড়ি। সবই ডুবে গেল অন্ধকারে। লোডশেডিং গ্রাস করল মুম্বই তো বটেই এমনকি মুম্বই শহরতলীকেও। থানে, পালঘর, রায়গড় সবই ডুবে যায় অন্ধকারে। ঠিক বেলা সওয়া ১০টা নাগাদ লোডশেডিং হয়। যা মু্ম্বইবাসীর কাছে একেবারেই অপরিচিত।
শহরের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা বিইএসটি জানিয়েছে টাটা-র বিদ্যুৎ সরবরাহ থমকে যাওয়াতেই এই বিপর্যয়। গ্রিড বসে যাওয়ায় এমন এক অচেনা পরিস্থিতির মুখে পড়েছে গোটা মুম্বই।
মু্ম্বই শহরের লাইফ লাইন বলে পরিচিত লোকাল ট্রেন নিয়ন্ত্রিতভাবে এখন চলছে। তার ওয়েস্টার্ন ও সেন্ট্রাল লাইন স্তব্ধ হয়ে গেছে। ট্রেনগুলিকে ভাসি ও ডিভা রুটে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ভাসিতে যদিও বিদ্যুৎ রয়েছে। ফলে ট্রেনগুলিকে বোরিভেলি ও ভিরার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অনেক জায়গায় ট্রেন মাঝপথে থমকে দাঁড়িয়ে পড়ার পর অনেকে ট্রেন থেকে মাঝপথেই লাফিয়ে নেমে কোনওভাবে সময়ে অফিস পৌঁছনোর চেষ্টা করেছেন। অনেকে হেঁটে তো অনেকে অন্য কোনও যান ধরে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন।
লোডশেডিংয়ের ফলে ট্রাফিক সিগনাল স্তব্ধ হয়ে গেছে। ফলে রাস্তায় ট্রাফিক সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে পুলিশ। অনেক বাড়ি বা অফিসের লিফট মাঝপথেই আচমকা থমকে গেছে। জল সরবরাহ অনেক জায়গাতেই বন্ধ হয়ে গেছে।
চার্চ গেট থেকে বোরিভেলি পর্যন্ত ট্রেন চালু করার অপ্রাণ চেষ্টা চলছে। প্রশাসনের তরফে সাধারণ শহরবাসীকে আতঙ্কিত হতে মানা করা হয়েছে।
এদিকে স্কুলের অনলাইন ক্লাস বন্ধ হয়েছে। এমনকি মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকগুলি পরীক্ষা রয়েছে এদিন। যা করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে হওয়ার কথা। কিন্তু লোডশেডিংয়ের ফলে তাও কিছুটা হলেও চিন্তায় রেখেছে ছাত্রছাত্রীদের।
ওয়ার্ক ফ্রম হোম ভাবে যাঁরা অফিস করছেন তাঁরাও আপাতত হাত পা গুটিয়ে বসে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। বিকেলের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা