মেট্রো শেড সরায় বাঁচল জঙ্গল
প্রস্তাবিত মেট্রোর কার শেড সরছে। ফলে এবারের মত বেঁচে গেল একটা বিশাল জঙ্গল। বেঁচে গেল অনেকটা সবুজ। ব্যস্ত শহরের ফুসফুস।
মুম্বই : প্রস্তাবিত মেট্রোর কার শেড হচ্ছেনা। তা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অন্যত্র তা তৈরি করা হবে। ফলে আর এ কলোনির জঙ্গল অক্ষতই থাকবে। রবিবার এমনই জানিয়ে দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
তিনি জানিয়ে দিয়েছেন এরফলে বেঁচে যাবে আর এ কলোনির সুবিশাল জঙ্গল। সবুজ বনানী। মেট্রোর কার শেড তৈরি করা হবে কঞ্জুরমার্গ-এ। ফলে এবারের মত বেঁচে গেল মুম্বই শহরের অক্সিজেন সিলিন্ডার আর এ কলোনির জঙ্গল।
ঠাকরে জানিয়েছেন, কঞ্জুরমার্গ-এ সরকারি একটি জমি এই মেট্রোর কার শেড বানানোর জন্য দেওয়া হয়েছে। আর এ কলোনিতে ইতিমধ্যেই যে নির্মাণ তৈরি হয়েছে তা থেকে যাবে। সেটিকে উপযুক্ত কাজে ব্যবহার করা হবে।
ফলে এটা পরিস্কার যে আর এ কলোনির জঙ্গল যেমন ছিল তেমনই থাকছে। এছাড়াও মহারাষ্ট্র সরকার গত মাসেই ঘোষণা করেছে আর এ কলোনির ৬০০ একর জঙ্গলের পাশাপাশি আরও ২০০ একর জমি জঙ্গল হিসাবে পরিগণিত করা হবে। আর তা মুম্বইয়ের বোরিভেলির সঞ্জয় গান্ধী ন্যাশনাল পার্ক-এর জঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
আর এ কলোনির জঙ্গলের ৬০০ একরের সঙ্গে আরও ২০০ একর জঙ্গল যুক্ত হওয়ার পর এখন মুম্বই শহরের মোট ১০৩ বর্গ কিলোমিটার জঙ্গল বেড়ে দাঁড়াল ১০৬ বর্গ কিলোমিটারে। যা শহরের পরিবেশের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
সরকারি এই সিদ্ধান্তে বেজায় খুশি পরিবেশবিদরা। পরিবেশ আন্দোলনকারীরাও খুশি। সকলেই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
গত বছর আর এ কলোনির জঙ্গলের ২ হাজারের ওপর গাছ কেটে ফেলার নির্দেশ দেয় মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যার বিরুদ্ধে সরব হন পরিবেশকর্মীরা। আর এ কলোনিতে জমায়েত করেন তাঁরা। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মুখর হন অনেকে।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নিয়ে প্রবল প্রতিবাদ আছড়ে পড়ে। এভাবে জঙ্গল শেষ করে শুধু গাছ নয়, অনেক পশু পাখির ক্ষতি করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।
এদিকে আর এ কলোনিতে প্রতিবাদ করায় বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এদিন মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়ে দিয়েছে সেই মামলা তুলে নেওয়া হবে।
অন্যদিকে বিজেপি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে পাল্টা দাবি করেছে এরফলে সরকারি অর্থ ব্যয় বাড়বে। বাড়বে মেট্রোর খরচও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা