পুরীর সোনালি সৈকত পেল নীল পতাকা সম্মান
পুরীর সমুদ্রসৈকত মানেই বাঙালির প্রাণের ছুটির ঠিকানা। পুরীর সেই সোনালি সৈকতের মুকুটে এল নতুন পালক। বিরল নীল পতাকা সম্মান পেল এই সৈকত।
ভুবনেশ্বর : পুরী নামটা শুনলেই বাঙালির মনটা কেমন পালাই পালাই করে। কটা দিনের জন্য পুরীর সমুদ্রের ধারে ঘুরে এলে যেন প্রাণ ফিরে পায় বাঙালি।
পুরী বাঙালিদের অন্যতম পর্যটন ঠিকানা হলেও সারা ভারত তথা সারা বিশ্ব থেকেই বহু পর্যটক আসেন এখানে ঘুরতে। পুরীর মন্দির ও শ্রী জগন্নাথদেবের দর্শনে। সেই পুরীর গোল্ডেন বিচ এবার পেল বিরল সম্মান। নীল পতাকা সম্মানে ভূষিত হল এই সমুদ্রসৈকত।
বিশ্বের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন সমুদ্রসৈকতগুলি এই সম্মান পেয়ে থাকে। ডেনমার্কের ফাউন্ডেশন ফর এনভায়রনমেন্ট এডুকেশন এই নীল পতাকা সম্মান দিয়ে থাকে। যা পেতে মুখিয়ে থাকে বিশ্বের যে কোনও সমুদ্রসৈকত।
ভারতে মোট ৮টি সমুদ্রসৈকত এই নীল পতাকা সম্মান অর্জন করেছে। যার একটি হল পুরী। রবিবার ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক ট্যুইট করে এই সম্মান অর্জনের কথা জানিয়েছেন।
ট্যুইটে নবীন পট্টনায়েক জানিয়েছেন, অনেকগুলি কঠিন শর্ত নিশ্চিত হওয়ার পর এই সম্মান প্রদান করা হয়েছে। বিশ্বমানের পর্যটন সুবিধাও রয়েছে এখানে।
পুরীর সৈকত এই সম্মান কিন্তু সহজে পায়নি। এজন্য ৩৩টি বিষয়ে পাশ করতে হয়েছে তাদের। যেখানে কেবল স্বচ্ছতাই একমাত্র শর্ত নয়। শর্ত রয়েছে আরও অনেক।
যেমন সেখানে দেখা হয়েছে এই সমুদ্রসৈকত কতটা শিক্ষামূলক দিক ধরে রাখতে পারছে। কতটা এই সৈকত সুরক্ষিত পর্যটকদের জন্য তাও দেখা হয়েছে।
আতস কাচের তলায় ফেলা বিভিন্ন বিষয় সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়ার পর নীল পতাকা সম্মান প্রদান করা হয়েছে পুরীর সোনালি সমুদ্রসৈকতকে। দিগবরেনি স্কোয়ার থেকে মেফেয়ার হোটেলের পিছন দিক, এই ৮৭০ মিটার সমুদ্রসৈকত নিয়েই পরীক্ষা হয়। যাতে পাশ করে পুরীর সোনালি বালুকা বেলা।
এই অংশকে সাজিয়েও তোলা হয়েছিল আগেই। এই সাজিয়ে তোলার জন্য মোটা অর্থ ব্যয়ও করা হয়েছিল ওড়িশা সরকারের তরফে। সেই সাজিয়ে তোলা এবার এনে দিল নীল পতাকা সম্মান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা