বিশাখাপত্তনমের সৈকতে এসে ধাক্কা মারল বাংলাদেশি জাহাজ
বিশাখাপত্তনমের সমুদ্র সৈকতে এসে ধাক্কা মেরে আটকে গেল বাংলাদেশি মালবাহী জাহাজ। জাহাজ থেকে কাউকে নামতে দেওয়া হচ্ছেনা। শুরু হয়েছে তদন্ত।
বিশাখাপত্তনম : অন্য দেশের জাহাজকে ভারতীয় জলভাগে প্রবেশ করতে হলেও তার প্রয়োজনীয় অনুমতি থাকা প্রয়োজন। আর এতো জাহাজ এসে সোজা ভিড়ে গেছে বিশাখাপত্তনমের সমুদ্র সৈকতে। ফলে জাহাজটি কী উদ্দেশ্যে এখানে এসেছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
বিষয়টিকে সহজভাবে নিতে রাজি নয় প্রশাসন। যদিও মনে করা হচ্ছে এর পেছনে প্রাকৃতিক কারণ থাকলেও থাকতে পারে। বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হওয়া অতি গভীর নিম্নচাপ প্রবল ঝড়ের আকারে আছড়ে পড়ে মঙ্গলবার সকালে। বিশাখাপত্তনম হল ঝড় জলে ক্ষতিগ্রস্ত অন্যতম সমুদ্র শহর। সেই ঝড়ই হয়তো টেনে এনেছে জাহাজটিকে।
মনে করা হচ্ছে বাংলাদেশি জাহাজটি বঙ্গোপসাগরে ভাসছিল। সেটি নোঙর করা ছিল। কিন্তু প্রবল ঝড়ের ঝাপটায় তার নোঙর ভেঙে যায়। তারপর জাহাজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান ক্যাপ্টেন। ফলে জাহাজটি নিজের মত ভাসতে থাকে ঝড়ের দাপটে। সেই ঝড়ের অভিমুখ ছিল অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল। ফলে ঝড়ের অভিমুখের সঙ্গে ভাসতে ভাসতে জাহাজটি এসে সোজা ধাক্কা খায় বিশাখাপত্তনমের সমুদ্র সৈকতে।
মঙ্গলবার রাত ১টায় তখন প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে বিশাখাপত্তনমে। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। সেই সময় জাহাজটি এসে ধাক্কা খায়। জাহাজটি ওখানে এসে ঠেকার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। মালবাহী জাহাজটি থেকে কাউকে নামতে দেওয়া হয়নি। কাউকে উঠতেও দেওয়া হয়নি।
ভারতের মাটিতে অনুমতি ছাড়া জাহাজ থেকে নামতে পারেননি জাহাজের ক্যাপ্টেন ও ১৫ জন কর্মী। তবে তাঁদের কোনও সমস্যা হচ্ছেনা। তাঁদের জন্য খাবার, জল সবই পৌঁছে যাচ্ছে।
পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে প্রশাসন। সাধারণত অতবড় জাহাজ সৈকত পর্যন্ত আসেই না। তার অনেক আগে গভীর সমুদ্রেই দাঁড়ায়। ফলে যেভাবে জাহাজটি এসে আটকেছে তাতে তাকে বার করতেও সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। ততদিন জাহাজের সকলে জাহাজেই থাকবেন।
এদিকে জাহাজটি ঘিরে স্থানীয় মানুষের উৎসাহ চরমে উঠেছে। তাঁরা অনেকেই এসে ছবি তুলছেন। সেলফি তুলছেন জাহাজটিকে পিছনে রেখে। সুবিশাল জাহাজটি এখন অন্যতম দ্রষ্টব্য জিনিসে রূপান্তরিত হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা