পুলিশ নয় চুরির কিনারা করল মোষ
পুলিশ অনেক চেষ্টা করেও চুরির কিনারা করে উঠতে পারেনি। কিন্তু মাত্র কয়েক মিনিটে সেই চুরির কিনারা করে দিল একটি মোষ।
কনৌজ (উত্তরপ্রদেশ) : সমস্যাটা জটিল। বীরেন্দ্র নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে একটি পশু বিক্রির মেলায় ঝগড়া বাঁধে মুসলিম নামে এক ব্যক্তির। মুসলিম একটি মোষ মেলায় বিক্রি করার জন্য এনেছিলেন। ঠিক সেই সময় সেখানে হাজির হন বীরেন্দ্র। তিনি দাবি করেন ওই মোষ তাঁর।
মুসলিম সাফ জানান, প্রশ্নই উঠছে না। কারণ তিনি ১৯ হাজার টাকা দিয়ে ওই মোষ ধর্মেন্দ্র নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে কিনেছেন। বীরেন্দ্র জানান ধর্মেন্দ্র তাঁর বন্ধু। তিনিই মোষ চুরি করে বেচে দিয়েছেন। বিষয়টি পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়।
বীরেন্দ্র পুলিশ স্টেশনে গিয়ে দাবি করেন তাঁর মোষ চুরি করেছেন তাঁরই বন্ধু ধর্মেন্দ্র। তারপর সেটি বেচেও দিয়েছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
কিন্তু বীরেন্দ্র সাফ জানান মোষ তাঁর। অন্যদিকে ধর্মেন্দ্র পরিস্কার জানিয়ে দেন তাঁর মোষ। তিনি যাঁকে খুশি বিক্রি করবেন। এতে বীরেন্দ্র বাগড়া দেওয়ার কে? মাঝে পড়ে পুলিশ এই চুরি রহস্যের কিনারা করতে হিমসিম খেতে থাকে।
সবরকম চেষ্টা করেও মোষ কার তা বার করে উঠতে পারেনি পুলিশ। অবশেষে বীরেন্দ্র ও ধর্মেন্দ্রকে ডেকে পাঠানো হয় থানায়। নিয়ে আসা হয় ওই মোষটিকেও।
এবার মোষটির বাঁধন আলাদা করে দেওয়া হয়। পুলিশ বীরেন্দ্র ও ধর্মেন্দ্র ২ জনকেই বলেন তাঁরা যেন মোষটিকে ডাকেন। ২ জনই মোষটিকে ডাকেন।
মোষটি বেশ কিছুটা সময় নির্বিকার থাকে। তারপর চেয়ে থাকে ধর্মেন্দ্র ও বীরেন্দ্রর দিকে। একটু পরে সে ধর্মেন্দ্রর ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁর কাছে হাজির হয়।
পুলিশ এরপর জানিয়ে দেয় রহস্যের কিনারা হয়ে গেছে। মোষটি ধর্মেন্দ্রর। ফলে তিনি যে মোষটি বিক্রি করেছেন সেটাও আইনসম্মত। এক্ষেত্রে বীরেন্দ্রর কিছুই বলার থাকতে পারেনা। বরং বীরেন্দ্রই মিথ্যা বলে মোষটি তাঁর বলে দাবি করেছিলেন।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কনৌজে। পুলিশ যে রহস্যের কিনারা করতে অপারগ হল সেই রহস্যের কিনারা একটি মোষ কয়েক মিনিটে করে দিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা